দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ ও প্রতিকার ২০২৪

দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ ও প্রতিকার ২০২৪ - প্রিয় পাঠক, আজকের এই পোস্টে দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ ও প্রতিকার এছাড়াও দাঁত সহজে পরিষ্কার করার উপায় এবং দাঁতের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে আলোচনা করব। আমরা বিভিন্ন সময় কারণে - অকারণে দাঁতের সমস্যায় ভোগে থাকি। কিন্তু দাঁতের রোগের সঠিক চিকিৎসা সম্পর্কে জানিনা। তাই দাঁতের সমস্যার সমাধানে কিছু করণীয় আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই। তাই আজকের পোস্টে দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ ও প্রতিকার ২০২৪ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। এছাড়াও শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি দাঁত সহজে পরিষ্কার করার উপায় ও দাঁতের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ ও প্রতিকার ২০২৪

তাহলে দেরি না করে দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ ও প্রতিকার ২০২৪ সম্পর্কে জানতে আমাদের আজকের আর্টিকেলের শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থেকে পোস্টেটি পড়ুন।

দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ ও প্রতিকার ২০২৪ ভূমিকাঃ

দাঁত আমাদের জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবদান। দাঁত আল্লাহ তায়ালার একটি নিয়ামত। দাঁত আমাদের মুখের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। প্রত্যক মানুষ তার দাঁতকে ভালোবাসেন। আমরা জীবনে চলার পথে অল্প বেশি সবাই দাঁতের রোগে ভোগি কেউ কেউ চিকিৎসা করায় আবার অনেকে ব্যথা নিয়ে ভোগে। নেক সময় দুর্ঘটনার কারণে দাঁতের ক্ষতি হয়ে থাকে। 

দাঁতের বিভিন্ন রকমের রোগের সমস্যা পরতে হয়। বেঁচে থাকার জন্য মানুষ যে খাবার খায়। খাবার খাওয়ার পরে দাঁতে ফাঁকে বেধে থাকা খাবার জীবানু বা ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি করে। আর সে খাবার খাওয়ার কারণে দাঁতের ব্যথা অনুভব করে। অনেক সময় দেখা য়ায় দুর্ঘটনার কারণে দাঁতের ক্ষতি করে নেই। আবার দাঁত ভেঙে যায়। আবার কখনো কখনো নিজের ভুলের কারণে দাঁত ফাঁকা হয়ে যায়। আমরা বর্তমানে উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে দাঁতের সঠিক যত্ন নিতে পারি। তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ ও প্রতিকার ২০২৪ সম্পর্কে জেনে নিন। 

দাঁত কাকে বলে?

দাঁত বলতে, কোন জীবের মেরুদন্ড প্রাণীদের মুখে থাকা একটি অঙ্গ। জীবজাতির খাবার চীবাণু ও কর্তনের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। জীবদেহের প্রত্যেকটি মেরুদন্ড প্রাণীর রয়েছে এই দাঁত। দাঁত সাধারণত মুখের ভেতরে অবস্থান করে। দাঁতকে সহজ কথা বলতে গেলে কোন কিছু চিবিয়ে খাওয়াকে দাঁত বলা হয়।

মানুষের দাঁত কত প্রকার ও কি কি?

পৃথিবীতে মানুষ সূষ্টির সেরা জীব। মহান আল্লাহ অনেক যত্ন করে মানুষের মুখ তৈরি করেছেন। সেই মুখের সৌন্দর্য বৃদ্ধির মুখের ভিতরে গঠনে করে দিয়েছেন দাঁত। মানুষ জীবন ধারণের জন্য এই দাঁতের সাহায্যে খাবার খেয়ে বেঁচে থাকে। মহান আল্লাহ তাআলার নেয়ামতের এই দাঁতের সাহায্যে আমরা খুব সহজে খাবার চিবিয়ে ও কর্তন করে খেতে পারি।

মানুষের দাঁত সাধারণত ৫ ধরনের হয়ে থাকে, ছেদন দাঁত, পেষন দাঁত, কর্তন দাঁত, অগ্রপেষন দাঁত ও আক্কেল দাঁত।

দাঁত সহজে পরিষ্কার করার উপায়

আমরা সাধারণত প্রতিদিন সকাল, দুপুর, রাত্রি তিনবেলা বিভিন্ন ধরনের তেল, চর্বিযুক্ত খাবার খেয়ে থাকি। এই তেল চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার কারণে আমাদের দাঁত প্রতিনিয়ত ক্যাভিটি ও নোংরা হয়ে থাকে। যার কারণে আমরা প্রতিদিন দুবেলা ব্রাশ করে থাকি। অনেকে আছে যারা দাঁত ব্রাশ করতে অলসতা করে। যার কারণে তাদের দাঁত ক্যাভিটি ও জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে। 

এছাড়াও দুবেলা ব্রাশ না করার কারণে আমাদের দাঁতে কালো দাগ পড়ে যায় যা আস্তে আস্তে পাথরে পড়ে নিতে হয়। যা আমাদের দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর। তাই আমাদের উচিত নিয়মিত প্রতিদিন দুবেলা দাঁত ব্রাশ করা।

দাঁত সাদা করার প্রাকৃতিক উপায়

দাঁত সাদা করতে লেবুর রস ও লবণঃ আপনি যদি দাঁত সাদা করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে নিয়মিত একমাস এই টিপসটি ফলো করতে হবে। এক চিমটি পরিষ্কার সাদা লবণ সাথে কয়েক ফোটা লেবুর রস দিয়ে দাঁতের গোড়ালি মাজতে হবে তাহলে আপনার দাঁত ঝকঝকে সাদা দেখাবে। এছাড়া লেবুর খোসা দিয়ে আপনার দাঁতের গোড়ালি পর্যন্ত ভালোভাবে প্রতিদিন দুবেলা মাজবেন। দেখবেন আপনার দাঁত সাদা ও ঝকঝকে হয়ে যাবে। এভাবে আপনি প্রাকৃতিক উপায়ে খুব সহজেই সাদা দাঁতের সৌন্দর্যতা ভোগ করতে পারবেন।

দাঁত সাদা করতে নারিকেল তেলের ব্যবহারঃ আপনি কি আপনার দাঁতের ময়লা নিয়ে ভাবছেন। আপনার দাঁত কি হলদে ভাব দেখাচ্ছে। অথবা দীর্ঘদিন দাঁত ব্রাশ না করার কারণে দাতে কি ক্যাভিটি জমা পড়েছে। আপনি কি আপনার দাঁত সাদা ও পরিষ্কার করতে চান। সে ক্ষেত্রে আপনাকে প্রতিদিন সকালে দাঁত ব্রাশ করার আগে এক টেবিল চামচ নারিকেল তেল নিয়ে কুলি-কুচি করতে হবে তাহলে আপনার দাঁত ঝকঝকে ও সাদা দেখাবে। 

আপনি ভাবছেন এটা কিভাবে সম্ভব নারকেল তেল দ্বারা কিভাবে দাঁত পরিষ্কার হতে পারে। তাহলে আপনার জন্য এই উত্তর। নারিকেল তেলের রয়েছে লাউরিক এসিড নামে একটি উপাদান যা আপনার দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা ময়লা, ব্যাকটেরিয়া, ক্যাভিটি খুব সহজেই ধ্বংস করতে পারে। আপনি প্রতিদিন সকালে ও রাতে দুবেলা ব্রাশ করার ১০ থেকে ১৫ মিনিট আগে নারিকেলের তেল ভালোভাবে মুখে দিয়ে কুলি-কুচি করবেন তাহলে আপনার দাঁত সাদা করতে অবশ্যই ভালো ফল পাবেন।

দাঁত সাদা করতে কমলা লেবুর ব্যবহারঃ কমলা একটি ফল। কমলা ফল খাওয়া যেমন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তেমনি কমলার খোসা আমাদের দাঁতের যত্নে ও বেশ উপকারী। তারা দীর্ঘদিন যাবত তাদের ময়লা ও ক্যাভিটি নিয়ে ভুগছেন। তারা এই কমলা খোসা আপনার দাঁত ছাড়া করতে ব্যবহার করতে পারেন। কমলার খোসা দাঁত পরিষ্কার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রতিদিন দুবেলা সকালে ও রাতে কমলালেবুর খোসা দিয়ে দাঁত ভালোভাবে মাসুন। এতেকরে আপনার দাঁত পরিষ্কার হওয়ার পাশাপাশি অনেক বেশি শক্তিশালী হবে।

দাঁত সাদা করতে গ্রিন টি ও মাশরুম ব্যবহারঃ দাঁত মানুষের মুখে সৌন্দর্যের আকর্ষণীয় নিদর্শন। সুন্দর দাঁত পছন্দ করে না এমন কোন মানুষ হয় না। আমরা বিভিন্ন কারণে অকারনে আমাদের দাঁতের সঠিকভাবে যত্ন না নেওয়ার কারণে আমাদের দাঁতের সমস্যা পড়ে থাকি। এ দাঁতের সমস্যা থেকে সমাধান পেতে আমরা প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ না করে একটি গ্রিন টি খেতে পারি গ্রিন টি খাওয়ার পরে পেস্ট ব্যবহার করে দাঁত ব্রাশ করার ফলে আমাদের দাঁত অত্যন্ত সুদর্শন এবং দৃষ্টি নন্দন দেখাবে। গ্রিন টিয়ে রয়েছে ফ্লুরাইড এসিড। যা দাঁত সাদা করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও দাঁত শক্তি বৃদ্ধি করতে আমরা মাশরুম খেতে পারি।

হলুদ দাঁত সাদা করার উপায় অথবা কালো দাঁত সাদা করার উপায়ঃ যারা হলুদ দাঁত ও কালো দাঁত নিয়ে অনেক চিন্তায় পড়েছেন। তারা অত্যন্ত সুন্দর ঝকঝকে সাদা দাঁত পাওয়ার জন্য আমাদের এই টিপসটি ফলো করতে পারেন। দাঁত সাদা করতে পাতি লেবুর বিকল্প নেই। কয়েক ফোটা লেবুর সাথে এক চিমটি লবণ দিয়ে আঙ্গুল ভরিয়ে দাঁত মাজতে পারেন তাহলে আপনার কালো দাঁত ও হলুদ দাঁত অনেক সাদা সুন্দর ঝকঝকে দেখাবে। এছাড়াও আপনার দাঁতে লেবুর খোসা দিয়ে স্ক্রাব করলেও হলদে ভাব চলে যাবে। আশা করি টিপসটি আপনার অনেক কাজে আসবে।

দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণঃ

  • অতিরিক ব্রাশ করা।
  • দাঁতের শক্ত কিছু কামড়ানো।
  • জেনেটিক সমস্যার। 
  • অতিরিক্ত খিলাল করা।
  • দাঁত আকারে ছোট ও আঁকাবাঁকা হওয়া।
  • বড় আকৃতির মুখ বা চোয়াল হওয়া।
  • স্বাভাবিকের থেকে কম দাঁত হওয়া।
  • দাঁত তুলে ফেলা।

মানুষ তার দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন কারণে অকারণে অনেক বদ অভ্যাসের মাধ্যমে তাদের নিজেদের দাঁত নিজেদের অজান্তেই ফাঁকা করে থাকে। একটি বাজে অভ্যাস দাঁত ফাঁকা করার উন্নত মাধ্যম। একটি অভ্যাস আপনার নিয়মিত অনেকদিন যাবত করার ফলে আপনার দাঁত থাকা হয়ে থাকে। বিভিন্ন উন্নত চিকিৎসার কারণে ফাঁকা দাঁত ঠিক করার উপায় রয়েছে। 

যদিও সেটা অনেক ব্যয়বহুল হওয়ার কারণে অনেক মানুষ এটা করতে চায় না। তাই আমরা অনেকে আছি যারা অনেক বদ অভ্যাস এর মাধ্যমে আমাদের দাঁত ফাঁকা করে ফেলতে পারি তারা অবশ্যই সচেতন হয়ে যাবেন।

দাঁত ফাঁকা দূর করার প্রতিকারঃ

প্রত্যেকটা মানুষ তার মুখের সৌন্দর্য হাসিটা পছন্দ করে থাকেন। যদি দাঁত ফাঁকা হয় তাহলে তো আর সুন্দর হাসি আসবেনা। মাঝেমধ্যে দেখা যায় অনেকের সামনে দাঁত বেশ ফাঁকা তাই তারা কথা বলার সময় মুখে হাত দিয়ে বা মাস্ক পড়ে নিজের মুখে আড়াল করে রাখেন। নিজেদের এরকম অমানুষিকতার কারণে নিজে নিজেকে অনেক মানসিকভাবে বিপদে হয়ে পড়তে হয়। আপনাদের এই দুশ্চিন্তা মুখ থেকে মুক্তি দিতে আজকে আপনাদের জন্য দাঁত ফাঁকা বন্ধ করার প্রতিকার নিচে আলোচনা করা হলো।

ডাক্তাররা সাধারণত দাঁত ফাঁকা বন্ধ করার জন্য ছয়টি চিকিৎসা করে থাকেন। 

  • বান্ডিং
  • পার্সেল ইন ক্রাউন
  • অর্থোডোন্টিক চিকিৎসার মাধ্যমে
  • লাইট কিউর কম্পোজিট ফিলিং এর মাধ্যমে
  • দাঁতের রং মিলিয়ে ফিলিং করা
  • পোরসেলিন ক্যাপের মাধ্যমে

দাঁতের কারণে যে সকল রোগ হয়ে থাকে

সত্য কথা বলতে বর্তমানে প্রতিদিন যে খাবার খায় চকলেট, আইসক্রিম, ভাত, শাকসবজি, মাছ, মাংস এর মধ্যে তেল জাতীয় খাবার খাওয়ার পরে সঠিক সময়ে ২ বেলা ব্রাশ না করার কারনে দাঁতের ব্যাথা, দাঁতের গর্ত, দাঁতের পোকা, দাঁতের শিরশির অনুভব করে থাকে। বর্তমানে অনেক আধুনিক চিকিৎসার মাধ্যমে উপকার পাওয়া য়ায়। 

দাঁতের বিভিন্ন রোগ বলতে, দাঁতের কারণে যে সমস্যা হয়ে থাকে। যেমনঃ  

শ্বাসকষ্টঃ দাঁতের মাড়ির আক্রমণকারী জীবাণুগুলো ফুসফুসের মাধ্যমে পাওয়া গেছে, যা ফুসফুসে ধীরে ধীরে প্রদাহের সৃষ্টি করে ফলে নিশ্বাস নিতে সমস্যা হয়।

হৃদরোগঃ সাধারণত দাঁতের মাড়িতে দন্ত-মল জমে। এর থেকে সৃষ্ট মাটির রোগ প্রদাহ সংক্রমণ হয়। তা রক্তে মাধ্যমে হৃৎপিণ্ড পৌঁছে যেতে পারে। ফলে হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি অনেক হারে বেড়ে যায়।

হজমের সমস্যাঃ দাঁতের সমস্যার কারণে মুখের ভিতরে থাকা খারাপ নির্ঝাস হজম শক্তি ধীরে ধীরে খারাপ করে ফেলে।

আরও জানুন, দাঁত ভাঙ্গা, দাঁতের ব্যথা, দাঁতের গর্ত, দাঁতের পোকা, দাঁতের শিরশির ইত্যাদি এসব রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য যে সকল চিকিৎসার মাধ্যমে আমরা রোগ নিরাময় করতে পারি। বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হলো।

দাঁতের রোগের চিকিৎসা

দাঁতের এক্স-রেঃ এক্স-রে বলতে আমরা বুঝি দাঁতের প্রতিচ্ছবি। একজন ডেন্টিস্ট দুই ধরনের এক্সরে করে থাকেন একটি হল পেরিয়াপিক্যাল এক্স-রে এবং আরেকটি হলো ও-জিপি আকারে ছোট। এটি সাধারনত দুই বা তিনটা দাঁতের প্রতিচ্ছবি ধারণ করতে পারে। একই সাথে হাঁড়ের মধ্যে টিউমার বা অন্য কোন সমস্যা আছে কিনা তা দেখতে পাওয়া যায়।
দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ ও প্রতিকার ২০২৪

দাঁতের ফিলিং করাঃ দাঁতের সবচেয়ে উপরের স্তরের নাম এনামেল। এনামেল ব্যাকটেরিয়া কারনে আক্রান্ত হয়ে নষ্ট হয়ে যায়, তখন সেই স্থান পরিস্কার করে স্থানটি ভরাট করে দেওয়া হয়, তাকে দাঁতের ফিলিং বলে।

বর্তমানে যেসব ধরনের ফিলিং করা হয় যেমন – এমালগাম, কম্পোজিট, গ্লাস লোনোমার ইত্যাদি। সব থেকে কম্পোজিট ফিলিং বর্তমানে  ব্যবহৃত বেশি প্রচলিত। মানুষ তার চেহারা সুন্দর রাখতে চাই। দাঁতের গর্ত হলে গর্ত ভরাট করে ফিলিং এর মাধ্যমে। এই ফিলিং কম্পোজিট ফিলিং নামে আলোচিত।

কম্পোজিট ফিলিং মূলত রেসিন বা প্লাস্টিক ও গ্লাসের মিশ্রণে তৈরি এবং এতে দাঁতের জন্য উপকারী ফ্লোরাইড দেওয়া থাকে।
দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ ও প্রতিকার ২০২৪

ডেন্টাল স্কেলিংঃ বর্তমানে বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে নিরাপদভাবে পরিষ্কার করার নাম স্কেলিং। মূলত আলট্রাসনিক বা হাত স্কেলারের মাধ্যমে এ চিকিৎসা দেওয়া হয়। আর কত দিন পরপর স্কেলিং করতে হবে সেটা নির্ভর করে মুখের স্বাস্থ্য সচেতনতার ওপর, নিয়ম করে দাঁত পরিষ্কার, খাদ্যাভ্যাস, শরীরের অবস্থা, দাঁতের গঠন, লালার স্বাভাবিকতা দেখার পরে দাঁতের ময়লা পরিষ্কার করে সুন্দর রাখতে ডেন্টাল স্কেলিং করা হয়।
দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ ও প্রতিকার ২০২৪

রুট ক্যানেলঃ  রুট ক্যানেল আসলে কি? রুট ক্যানেল কথা শুনলে রোগীরা ভয় পেয়ে যায়। এর কারণ কি? রুট করার কারণ হলো ব্যথা মুক্ত করা এবং জীবাণু নষ্ট করা। রোগীরা ভাবে দাঁতের ব্যথা চিকিৎসকের কাছে গেলেব্যথা আরো বেশী হয় কিনা। তবে এখন বর্তমানে অনেক চিকিৎসা আপডেট হয়েছে সেগুলো রুট ক্যানেল করার আগে ব্যবহার করে। এতে সেই জায়গা থেকে রুট ক্যানেল করে  ব্যথা বা জীবাণুমুক্ত করা না হলে অবশ্যই দাঁতটি ফেলে দিতে হবে কারণ ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক এর পাশাপাশি দাঁতের ক্ষতি করে থাকে।
দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ ও প্রতিকার ২০২৪

দাঁতের ক্যাপ পড়ানোঃ  সাধারণত দাঁতে প্রদাহজনিত রোগ হলে সে দাঁতটি রুট ক্যানেল করার পর দাঁতটি যেন স্বাভাবিকভাবে পুনরায় যেন ভেঙে না যায়। সেজন্য দাঁতে ক্যাপ লাগানো অপরিহার্য হয়ে পড়ে এছাড়া বিভিন্ন আঘাতের কারণে দাঁত ভাঙ্গে গেলে ফেটে গেলে অথবা রং কালো হয়ে গেলে ক্যাপ লাগানো জরুরি হয়ে পড়ে।

দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ ও প্রতিকার ২০২৪

সর্বশেষ কথা - দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ ও প্রতিকার ২০২৪

প্রিয় পাঠক, দাঁত সহজে পরিষ্কার করার উপায়, দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ, দাঁতের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা সকল প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পেরেছি। আশা করি উপকৃত হয়েছেন। দাঁত আমাদের জীবনে এক অমূল্য সম্পদ। তাই আমাদের সময় থাকতে দাঁতের যত্ন নেওয়া উচিত। আশা করছি আজকের পোস্টে যারা পড়েছেন তারা অবশ্যই নিজেদের দাঁতের যত্ন নিবেন।

এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থেকে মনোযোগ সহকারে আর্টিকেল করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
2 জন কমেন্ট করেছেন ইতোমধ্যে
  • MS BD IT
    MS BD IT March 3, 2023 at 5:37 PM

    অনেক সুন্দর ভাবে বুঝিয়েছেন

  • neeon
    neeon July 14, 2023 at 3:44 PM

    Thank for this content

মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url