কিসমিস খাওয়ার নিয়ম - কিসমিস ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও কিসমিস ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও কিসমিস ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করবো। কিসমিস শুকনো ফল। কিসমিস পুষ্টিকর খাদ্য যা আমাদের শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে। কিসমিসে ভিটামিন এ, বি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়ামের মতো বিভিন্ন উপাদান বিদ্যমান রয়েছে যা আমাদের দেহের জন্য কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। কিসমিস যেমন দেহের জন্য উপকারী তেমনি অনেক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে আমাদের দেহকে সুস্থ রাখে। এছাড়া কিসমিস অনেক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। আসুন তাহলে জেনে নেয়া যাক, কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও কিসমিস ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।

কিসমিস খাওয়ার ১৭টি উপকারিতা সম্পর্কে জানুন

পাঠক, আপনারা নিশ্চয়ই জানতে চেয়েছেন ? কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও কিসমিস ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। ভোরের আলো আইটির পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও কিসমিস ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করবো বিস্তারিত জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।

কিসমিস খাওয়ার ১৭টি উপকারিতা "উপস্থাপনা"

কিসমিস শুকনা জাতীয় অনেক সুস্বাদু একটি ফল। কিসমিস আমাদের শরীরের জন্য কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে। কিসমিস আমাদের শরীরের আয়রনের ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি লাল রক্তের কণিকার মান বাড়াতে সাহায্য করে। কিন্তু শুকনো কিসমিসের বদলে কিসমিস ভিজিয়ে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। 

কিসমিস লোহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা বাড়াবে এবং আমাদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করবে। আপনি যদি এটি শুকানোর বিপরীতে ভেজে খান তবে আপনি এটি থেকে বেশি লাভ পাবেন। কিশমিশের উপকারিতা ও অপকারিতা অসংখ্য। আপনি যদি পারেন, অ্যাসিডিটি এবং কোষ্ঠকাঠিন্যে সহায়তা করতে প্রতিদিন সুলতানার জল পান করার চেষ্টা করুন। আপনি যদি এই পণ্যটি ব্যবহার করেন তবে আপনাকে কোনও ওষুধ খাওয়ার দরকার নেই। কিশমিশের পানি রক্ত পরিশোধনে সাহায্য করে।

তাহলে দেরি না করে জেনে নেয়া যাক,  কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও কিসমিস ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।

কিসমিস খাওয়ার ১৭টি উপকারিতা 

জ্বর নিরাময় করে |  কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

কিসমিসে আছে প্রচুর পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান। যা জ্বরের বিরুদ্ধে লড়াই করে জ্বর নিরাময় করতে সাহায্য করে।

দাঁত ও হাড়ের সুরক্ষা |  কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

কিসমিসে থাকা ক্যালসিয়াম উপাদান যা আমাদের দাঁত ও হাড় মজবুত করতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এছাড়া কিসমিসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দাঁতের ক্যাভিটি দূর করে এবং দাঁত দেখতে সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে তোলে। এছাড়া কিসমিসে আরও রয়েছে বোরন নামক মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস যা হাড়ের ক্যালসিয়াম শোষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

চোখের যত্নে |  কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

কিসমিসের প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যা অন্ধত্ব প্রতিরোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন যদি নিয়ম করে কিছু পরিমাণ কিসমিস খাওয়া যায় তাহলে বৃদ্ধ বয়সে অন্ধত্ব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করে |  কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

কিসমিস রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা আমাদের পরিপাকতন্ত্রের মধ্যে গিয়ে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। এবং কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থেকে রক্ষা করে।

মনোযোগ বাড়ায় |  কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

নিয়মিত কিসমিস খেলে ব্রেনের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। কিসমিসে থাকা বোরণ উপাদানটি মনোযোগ বাড়াতে করতে সাহায্য করে।

দেহের শক্তির যোগান  |  কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

কিসমিসে বিদ্যমান রয়েছে ক্যালোরি, প্রোটিন যা দেহের শক্তির যোগান দেয়। শরীরের দুর্বলতা ভাব দূর করে কাজ করার মনোভাব সৃষ্টি করে।

রক্ত চলাচল |  কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

কিসমিসে থাকা কার্বোহাইড্রেট দেহে গ্লুকোজের রক্ত প্রবাহে প্রবেশ করে ও রক্ত চলাচল সঠিকভাবে পরিচালনা সহজ করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা |  কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এবং আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

পেশী সংকোচন |  কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

কিসমিসে থাকা পটাশিয়াম পেশী সংকোচন এবং স্নায়ু সংকেত নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।

 ভারসাম্য বজায় রাখতে |  কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

কিসমিসে থাকা সোডিয়াম দেহের এসিড এবং ক্ষারকীয় অবস্থার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।

ত্বককে রক্ষা করে |  কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

কিসমিসে ভিটামিন বি, সি ক্ষতিকারক ফ্রি রেডিক্যাল এর হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে। ত্বকের শুষ্কভাব দূর করে এবং ত্বককে সুন্দর লাবণ্যময় করে তোলে।

বদহজম দূর করতে |  কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

বদহজম দূর করতে কিসমিস খাওয়া খুবই জরুরি। কারণ কিসমিস ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়াম দুই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে যা বদহজম দূর করতে সহায়তা করে।

কোলেস্টেরল মাত্রা বাড়াতে |  কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

কিসমিস শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে ভালো কোলেস্টেরল মাত্রা বাড়াতে সহায়তা করে।

শরীরের ওজন বৃদ্ধি |  কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

নিয়মিত কিসমিস খেলে শরীরের ওজন বৃদ্ধি ও এনার্জি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

অ্যানিমিয়া দূর করতে |  কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

কিসমিসে যথেষ্ট পরিমাণে আয়রন আছে। যা অ্যানিমিয়া দূর করতে সাহায্য করে। এটি দেহ গঠন পাশাপাশি ভিটামিন বি এর অভাব পূরণ করে।

ক্যান্সার থেকে রক্ষা |  কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

ক্যান্সারের একটি উপকরণ ফ্রি রেডিক্যাল। কিসমিসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি রেডিক্যাল ক্যানসারের কোষকে নষ্ট করে ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে।

কিসমিসের ব্যবহার  |  কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

মিষ্টি জাতীয় খাবারে আমরা সবাই কিসমিস ব্যবহার করে থাকি। এছাড়া কিসমিস ডেজার্ট তৈরিতে ও বিভিন্ন গার্নিশিংয়ের ক্ষেত্রে কিসমিস ব্যবহার করা হয় ।

কিসমিস এর দাম

আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা কিসমিসের দাম কত লিখে গুগলে সার্চ করে আমাদের ওয়েবসাইট এসেছেন। তাদের জন্য আমাদের আজকের আর্টিকেলটি গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের daraz.com বিডি এপ্সে আপনারা খুব সহজেই কিসমিস এর দাম জানতে পাবেন। দারাজ কর্তৃপক্ষ হতে কোম্পানির থেকে কিসমিস এর দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। নিচে আপনাদের সুবিধার্থে কিসমিস এর দাম জানানো হলো।
  • কিসমিস-গোল্ডেন কিশমিশ-100 গ্রাম। 4.7/5(7) ৳55. ৳ 99।
  • মিশ্র শুকনো ফল এবং বাদাম প্রিমিয়াম -250 গ্রাম। 5/5(2) ৳169। ৳ 300।
  • কিসমিস/কিসমিস 500 গ্রাম(প্রিমিয়াম) 4/5(2) ৳271। ৳ 280।
  • গোল্ডেন কিশমিশ / কিসমিস (বীজবিহীন)- 250 গ্রাম। 5/5(1) ৳159। ৳ 260।
  • গোল্ডেন ইরানি বীজহীন গোলাকার কিশমিশ - 250 গ্রাম। 5/5(5) ৳165। ৳ 250।

কিসমিস খাওয়ার পুষ্টিগুণ - কিসমিস খাওয়ার পদ্ধতি

কিশমিশ ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পলিফেনল এবং অন্যান্য ফাইবার সমৃদ্ধ। উপরন্তু, কিশমিশ শরীরকে রক্ত ও শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করে। আমরা কিশমিশের কিছু রহস্যময় বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে কথা বলব। কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় শরীর তা দ্রুত হজম করে।

প্রতিদিন রাতে দুই কাপ পানিতে কয়েকটা কিসমিস রেখে দিন। আপনি লক্ষ্য করবেন যে সমাধানের রঙ গাঢ় হয়ে গেছে; এটি যত গাঢ়, তত বেশি সহায়ক। পরের দিন সকালে, এটি জল থেকে সরান, সংক্ষিপ্তভাবে এটি গরম করুন এবং তারপরে এটি খালি পেটে খান। এবং তারপর 30 মিনিট পরে অন্য কিছু খান। আপনার জন্য শীঘ্রই বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করা হবে।

কিসমিস খাওয়ার নিয়ম

কিসমিস ভেজানো পানি খালি পেটে পান করুন। সপ্তাহে অন্তত চারবার কিশমিশ-ভেজানো পানি খাওয়া পেট পরিষ্কার রাখতে বিশেষভাবে সহায়ক। যারা প্রায়ই পেট খারাপের সমস্যায় ভোগেন তাদের জন্য এই টনিকটি বিশেষভাবে উপকারী। কিশমিশও প্রচুর শক্তি জোগায়, যা আপনাকে সারাদিন বাঁচিয়ে রাখবে।

প্রতিদিন রাতে 2 কাপ পানিতে কয়েকটা কিসমিস ভিজিয়ে রাখুন, দেখবেন এর রং যত গাঢ় হবে ততই উপকারী। পরদিন সকালে পানি থেকে ছেঁকে নিয়ে সামান্য গরম করে খালি পেটে খান। আর আধা ঘণ্টা পর অন্য খাবার খান। শীঘ্রই আপনি বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

শুকনো কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে যা আমাদের হাড়কে শক্তিশালী করে এবং হাড়ের ক্ষয় এবং বাতের ব্যথা প্রতিরোধ করে। শুকনো কিশমিশে পটাশিয়াম থাকে যা আমাদের শরীরে উচ্চ মাত্রার সোডিয়াম নিয়ন্ত্রণ করে যার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। শুকনো কিশমিশ ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

এতে প্রচুর পুষ্টি উপাদান রয়েছে। ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম এবং জিঙ্ক রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে আয়রন, থায়ামিন, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন কে, পটাসিয়াম। সবচেয়ে জনপ্রিয় শুকনো ফল হল কাজু, কিসমিস, বাদাম।

সমস্ত খাবারই যথেষ্ট শক্তি এবং শক্তি বৃদ্ধিকারী। রাতে ঘুমানোর আগে প্রচুর পানিতে কিশমিশ, বাদাম ও ছোলা ভিজিয়ে রাখুন। অন্তত 3 মাস সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মুখ ধুয়ে খেজুর খেলে আপনার শরীরের পরিবর্তন দেখে আপনি অবাক হবেন।

কিসমিস খাওয়ার অপকারিতা

কিসমিস খাওয়ার যেমন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারিতা রয়েছে তেমনি কিসমিস খাওয়ার অপকারিতা রয়েছে। তাই আমাদের এই কিসমিস খাওয়ার পূর্বে কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে হবে। নিচে আপনাদের সুবিধার্থে কিসমিস খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে দেয়া হলো।
  • কিসমিস এলার্জির সমস্যা বাড়াতে পারে, তাই যাদের এলার্জি আছে তারা কিসমিস খাবেন না।
  • যাদের ডায়বেটিস সমস্যা আছে তারা অতিরিক্ত পরিমানে কিসমিস খাবেন না, এতে ডায়বেটিস বেড়ে যেতে পারে।
  • যারা শরীরের ওজন কমাতে চান, তারা অতিরিক্ত কিসমিস খাবেন না, কারণ কিসমিস শরীরের ওজন বাড়ায়।
  • অতিরিক্ত কিসমিস খেলে হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অতিরিক্ত কিসমিস খাওয়া হতে বিরত থাকবেন।

সর্বশেষ কথা - কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও কিসমিস ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রিয় বন্ধুরা, কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ, শুকনা কিসমিস এর উপকারিতা এবং  পুষ্টিগুণ সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনারা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম আর্টিকেল আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url