বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং নিয়ম জেনে নিন

প্রিয় বন্ধুরা, আজকের পোস্টে বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও  অপকারিতা এবং নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করবো। বাদাম আমরা সবাই চিনি। বাদামকে সুপার ফুড হিসাবে আখ্যা দেওয়া হয়। কারণ বাদামে আছে অনেক পুষ্টি উপাদান। ডায়েট করা থেকে শুরু করে আমাদের ত্বক, চুল ও হার্ট ভালো রাখতে  সাহায্য করে এই বাদাম। মুখরোচক খাবার হিসেবে বাদাম ভেজে খেয়ে থাকি। বাদাম বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে যেমন কাজুবাদাম, পেস্তা বাদাম, কাঠ বাদাম, চিনাবাদাম আখরোট। বাদাম খাওয়ার যেমন উপকারিতা আছে তেমনি অপকারিতাও রয়েছে। তাহলে দেরি না করে জেনে নেয়া যাক, বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও  অপকারিতা এবং নিয়ম সম্পর্কে।

বন্ধুরা, নিশ্চয়ই আপনারা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও  অপকারিতা এবং নিয়ম সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আজকে ভোরের আলো আইটির পক্ষ থেকে বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও  অপকারিতা এবং নিয়ম সম্পর্কে জানাবো।

    বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও  অপকারিতা এবং নিয়ম "উপস্থাপনা"

    কিছু গবেষণায় দেখা গেছে দুই ধরনের বাদামের স্বাস্থ্যগত উপকারিতা সবচেয়ে বেশি এবং সেগুলো হলো আখরোট ও কাঠবাদাম। একেক রকমের বাদামের স্বাস্থ্যগত উপকারিতা একেক রকম। কিন্তু সব বাদামের কিছু কমন স্বাস্থ্যগত উপকারিতা রয়েছে যা আমরা অনেকেই জানি না। তবে অতিরিক্ত বাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে মোটেই ভালো নয়। বন্ধুরা, বাদামের খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং নিয়ম সম্পর্কে জানতে শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গেই থাকুন।

    বাদাম খাওয়ার ১২টি উপকারিতা 

    গর্ভবতী মহিলাদের জন্য উপকারী | বাদাম খাওয়ার উপকারিতা 

    বাদামে রয়েছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স যা গর্ভবতী মহিলাদের গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্ক নিউরালটিভ গঠনে সাহায্য করে ভূমিকা পালন করে।

    ত্বক ও চুলের যত্ন | বাদাম খাওয়ার উপকারিতা

    বাদামে আছে ভিটামিন ই যা চুল ও ত্বকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাদাম খেলে চুল পড়া বন্ধ হবে চুল ঘন হবে এবং চুল অনেক স্বাস্থ্যউজ্জ্বল হবে। ত্বককে সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া নিয়মিত বাদাম খেলে ত্বক আকর্ষণীয় হয় এবং বয়সের ছাপ পড়ে না।

    মিনারেলের ঘাটতি পূরণ | বাদাম খাওয়ার উপকারিতা 

    বাদামে রয়েছে আয়রন, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, জিংক, সেলেনিয়াম যা শরীরের মিনারেলের ঘাটতি পূরণ করে এবং শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

    খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে | বাদাম খাওয়ার উপকারিতা 

    নিয়মিত বাদাম খেলে উপকারী কোলেরেস্টেল বাড়াতে থাকবে ফলে শরীর সুস্থ থাকবে এবং ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে থাকবে ফলে আপনি সুস্থ থাকবেন।

    মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি | বাদাম খাওয়ার উপকারিতা 

    বাদামে থাকে গুরুত্বপূর্ণ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড। বাদাম পর্যাপ্ত পরিমাণ খেলে ব্রেন, শুক্রাণু, শুক্রাশয় এবং চোখের রেটিনার প্রাথমিক গঠন উপাদান হিসেবে কাজ করে ফলে মস্তিষ্ক দুর্দান্তভাবে কাজ করে। 

    হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক থেকে রক্ষা | বাদাম খাওয়ার উপকারিতা 

    আপনি যখন চর্বিযুক্ত খাবার, ভাজাপোড়া বা ফাস্টফুড খান তখন রক্তনালী শক্ত হয়ে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হতে পারে। নিয়মিত বাদাম খেলে রক্তনালী নমনীয় বা নরম হতে সাহায্য করে। রক্তনালীর ভেতরে রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাদামে থাকা ক্রামাইনো এসিড তাই স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের হাত থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত বাদাম খান ।

    ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য | বাদাম খাওয়ার উপকারিতা 

    বাদামে ফাইবার থাকে ফাইবার শরীরে কার্বোহাইড্রেট শোষণের গতি কমায় ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী।

    ওজন কমাতে | বাদাম খাওয়ার উপকারিতা 

    বাদাম খাওয়ার পর খিদে একেবারে কমে যায়। ফলে মাত্রাতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। অতিরিক্ত ক্যালরি শরীরে প্রবেশ করতে পারে না ফলে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা কমে যায়।

    পেশীর কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি | বাদাম খাওয়ার উপকারিতা 

    বাদামে থাকে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা হৃদপিণ্ড মস্তিষ্ক ও পেশির যাবতীয় কার্যাবলী সুস্থভাবে সম্পন্ন করতে সাহায্য করে। এমন কি খাবার থেকে শক্তি তৈরীর প্রক্রিয়া কে সাহায্য করে এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।

    হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে | বাদাম খাওয়ার উপকারিতা 

    নিয়মিত পানিতে ভেজানো বাদাম খেলে শরীরে এনজাইমের ক্ষারক বেড়ে যায়। যার প্রভাবে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটতে শুরু করে।

    রক্তে শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ | বাদাম খাওয়ার উপকারিতা 

    বাদামে থাকা ম্যাগনেসিয়াম রক্তে উপস্থিত শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সেই কারণেই ডাক্তার ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়মিত বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। নিয়মিত বাদাম খেলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ২৫-৩৮ শতাংশ কমে যায়।

     ক্যান্সার রোগকে প্রতিরোধ | বাদাম খাওয়ার উপকারিতা 

    বাদামে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার রোগকে প্রতিরোধ করার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর মধ্যে দিয়ে নানাবিধ সংক্রমণকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। 

    বাদাম খাওয়ার অপকারিতা

    • বাদামের উচ্চ প্রোটিন ও ফ্যাট থাকে তাই মাত্রাধিক বাদাম খেলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। তাই সঠিক পরিমাণে বাদাম খাওয়া উচিত।
    • প্রচুর পরিমাণে বাদাম খেলে শরীরে ফাইবার এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায় ফলে পেটব্যথা হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
    • যাদের কিডনিতে পাথর আছে তারা বাদাম খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ বাদামে থাকা অক্সিলেডের মাত্রা বেশি থাকে। যা পাথর বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

    বাদাম খাওয়ার সঠিক নিয়ম

    • মনে রাখবেন ভাজা বাদাম এর চাইতে কাঁচা বাদামের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি থাকে। বাদাম ভাজলে পুষ্টি গুণ অনেক কমে যায়। তাই প্রতিদিন এক মুঠো বাদাম রাতে পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে খাবেন। 
    • এক মুঠো বাদাম বলতে, চিনাবাদাম ১০টি থেকে ১৫টি, কাঠবাদাম ৫টি, কাজুবাদাম ৪টি, পেস্তা বাদাম ৪টি, আখরোট ২টি। এই নিয়মে নিয়মিত বাদাম খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন।

    সর্বশেষ কথা

    বন্ধুরা, নিশ্চয়ই আপনাদের বুঝাতে পেরেছি বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও  অপকারিতা এবং নিয়ম সম্পর্কে। বাদাম খাওয়ার এত পুষ্টিগুণ উপকারিত রয়েছে, তাই আমাদের বাদাম খাওয়ার বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও  অপকারিতা এবং নিয়ম অবশ্যই জেনে খাওয়া উচিত। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থেকে শেষ পর্যন্ত পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url