মহরমের রোজা কত তারিখে ২০২৩ - আশুরা কত তারিখে ২০২৩
মহরমের রোজা কত তারিখে ২০২৩ ও আশুরা কত তারিখে ২০২৩ - প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আজকের পোস্টে আমি আপনাদের সাথে মহরমের রোজা কত তারিখে ২০২৩ ও আশুরা কত তারিখে ২০২৩ এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। হিজরী বছরের প্রথম মাস হল মহরম মাস। মহরম মাসের ইবাদত অনেক গুরুত্বপূর্ণ। মহরম মাসে রোজা রাখা সুন্নত। আরবি ১২ মাসের মধ্যে ঐতিহাসিক মাস চারটি। তার মধ্যে একটি উন্নত মাস হল মহরম মাস। এই মাসে ইসলামিক অনেক ঐতিহাসিক ঘটনা রয়েছে। আজ আমরা এই পোস্টে জানবো মহরমের রোজা কত তারিখে ২০২৩ ও আশুরা কত তারিখে ২০২৩।
চলুন দেরি না করে মহরমের রোজা কত তারিখে ২০২৩ ও আশুরা কত তারিখে ২০২৩ এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জেনে নেই।
পেজের সূচিপত্রঃ মহরমের রোজা কত তারিখে ২০২৩ - আশুরা কত তারিখে ২০২৩
মহরমের রোজা কত তারিখে ২০২৩ - আশুরা কত তারিখে ২০২৩
মহরম আরবি শব্দ। য়ার অর্থ পবিত্র ও সম্মানিত। এই মাসের ১০ তারিখ সকল মুসল্লীদের কাছে ইতিহাসের একটি সম্মানিত দিন। এই দিন মুসলিম ইতিহাসে আশুরা নামে পরিচিত। হযরত মুহাম্মদ সাঃ মহরম মাসে তার বান্দাদের তিনটি রোজা করতে বলেছেন।
অর্থাৎ মহরম মাসে ৯, ১০, ১১ তারিখ রোজা রাখতে বলেছেন। আপনি যদি তিনটে রোজা রাখতে
না পারেন। সেক্ষেত্রে আপনি ৯,১০ দুটি রোজা রাখতে পারেন। অথবা ১০, ১১ তারিখ রোজা
রাখতে পারেন।
মুসলিম বিশ্বের প্রতি বছর সকল মাসগুলো চাঁদ দেখার উপর। ঠিক তেমনি চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে মহরম মাস। আরবি ১৪৪৫ হিজরী মহরম মাসের ১০ তারিখ রোজা অনুষ্ঠিত হবে। ইংরেজি জুলাই মাসের ২৯ তারিখ। বাংলা শ্রাবণ মাসের ১৪ তারিখ মহরম মাসের রোজা অর্থাৎ আশুরা শুরু হবে। রোজ শনিবার। "চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল"। নিচে আপনাদের সুবিধার্থে মহরম মাসে ক্যালেন্ডার ২০২৩ দেওয়া হলো।
আশুরার রোজা পালেন | মহরমের রোজা কত তারিখে ২০২৩
হযরত মুহাম্মদ সাঃ মদিনা শরীফে হিজরত করার পর দেখেন যে সেখানে সকল ইহুদিরা মহরমের ১০ তারিখে রোজা পালন করছেন। তখন তাদের জিজ্ঞাসা করলেন তাদের রোজা রাখার উদ্দেশ্য কি। তখন ইহুদিরা উত্তর দিলেন এই দিনে হযরত মুসা আঃ রোজা করতেন। তাই হযরত মুসা আঃ অনুসরণ করছেন।
হযরত মোহাম্মদ সাঃ বললেন, হযরত মুসা আঃ অনুসরণ করে আমরা অধিক হকদার। তখন হযরত মুহাম্মদ সাঃ রোজা করলেন এবং তাদের সাহাবীদের রোজা রাখার নির্দেশ প্রদান করলেন। হযরত মুহাম্মদ সাঃ বললেন তোমরা আশুরার আগের দিন ও পরের দিন দুটি রোজা পালন করবে। যেন ইহুদীদের সাথে কোন মিল না থাকে।
মহরম মাসের ফজিলত | মহরমের রোজা কত তারিখে ২০২৩
আশুরার রোজা মহররমের রোজার চেয়েও বেশি উপকার করে। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, "আমি আল্লাহর রসূলকে কখনো দেখিনি, আল্লাহ তাঁর উপর বরকত বর্ষণ করুন।" (সহীহ বুখারীতে 1/218)
তওবার ইতিহাস যে মহররম মাসের সাথে যুক্ত তা এই মাসের আরেকটি উল্লেখযোগ্য সুবিধা। একটি হাদিসে আছে-
রমজানের পর কি আর কোন মাস আছে যেটাতে আপনি আমাকে রোজা রাখতে চান, কেউ আলী (রাঃ)-কে প্রশ্ন করেছিল? তিনি উত্তর দিলেন, "আমি সেখানে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খেদমতে ছিলাম, যখন তাঁর একজন সাহাবী এই প্রশ্নটি করেছিলেন।
তুমি যদি রমজানের পর রোজা রাখতে চাও, তাহলে মহররম মাসে রোজা রাখ, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উত্তর দিলেন। আল্লাহর মাস। এ মাসে এমন একটি দিন রয়েছে যেদিন আল্লাহ একটি জাতির তওবা কবুল করেছেন এবং ভবিষ্যতেও অন্য জাতির তাওবা কবুল করবেন। হাদীস : ১/১৫৭ (জামে তিরমিযী)
আশুরার রোজা রাখার উদ্দেশ্য কি?
আরবি এক বছর সমান ১২ মাস। আরে বারো মাসের একটি মাস হল মহরম মাস। এই মাস মহান আল্লাহতালার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এই মাসে মহান আল্লাহ তা'আলা পৃথিবীর সৃষ্টি করেছেন। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ তিনি আমাদের আশুরার দিনে অর্থাৎ মহরম মাসের ১০ তারিখ রোজা রাখতে বলেছেন।
যদি কেউ মহরম মাসে তিনটি রোজা রাখতে চাই। সে ক্ষেত্রে ৯, ১০,১১ এই তিন দিন রোজা
রাখতে পারে। আর যদি কেউ তিনটি রোজা রাখতে না পারে। সে ক্ষেত্রে দুইটি রোজা রাখবে।
মহরম মাসের ৯-১০ অথবা ১০-১১ তারিখ রোজা রাখতে হবে।
১০ ই মহরম এর ইতিহাস | মহরমের রোজা কত তারিখে ২০২৩
মহান আল্লাহ তালার কাছে আরবি চার মাস উত্তম। আর এই চার মাসের একটি মাস মহরম মাস।
মহরম মাসে গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত রয়েছে। ১০ই মহরম এর সম্পর্কে ইতি পূর্বে আলোচনা
করা হয়েছে যা আমরা সকলে কম বেশি জানি। আপনাদের সুবিধার্থে মহরম মাসের ঐতিহাসিক
কিছু ঘটনা তুলে ধরা হলো।
- মহরম মাসের ১০ তারিখ মহান আল্লাহতালা এই পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন।
- মহরম মাসের ১০ তারিখ মহান আল্লাহতালা হযরত আদম সাঃ ও হাওয়া আদম সাঃ পৃথিবীতে অবতরণ করেছেন। পৃথিবীতে হযরত আদম সাঃ ও মা হওয়া তাদের সাথে দেখা করে দেন এবং তাদের তওবা কবুল করেন।
- মহরম মাসের ১০ তারিখ যখন হযরত ইব্রাহিম আদম সাঃ কে আগুনে নিক্ষেপ করেন। তখন মহান আল্লাহতালা স্বয়ং হযরত ইব্রাহিম আদম সাঃ কে রক্ষা করেন।
- মহরম মাসের ১০ তারিখ হযরত নূহ আদম আসাঃ এর জাহাজ কারবালার পান্তর অর্থাৎজুদি শহরে থেমে যায়।
- মহরম মাসের ১০ তারিখ কারবালার শহরের প্রান্তরে হাসান ও হোসাইন শহীদ হন।
- মহরম মাসের ১০ তারিখ মহান আল্লাহর নির্দেশে ফেরাউন ও তার দলবল নীল নদে ডুবে মারা যায়।
- মহরম মাসের ১০ তারিখ মহান আল্লাহতালা হযরত ইউসুফ আঃ কে মাছের পেট থেকে রক্ষা করেন।
- মহরম মাসের ১০ তারিখ কেয়ামত সংঘটিত হতে পারে।