২রা ফেব্রুয়ারি বিশ্ব জলাভূমি দিবস

প্রিয় পাঠক আপনি কি জানেন ২রা ফেব্রুয়ারি বিশ্ব জলাভূমি দিবস সম্পর্কে। যদি জেনে থাকেন তবে জেনে নিন ২রা ফেব্রুয়ারি বিশ্ব জলাভূমি দিবস এর ইতিহাস। আজকের পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি জানতে পারবেন জলাভূমি দিবসের ইতিহাস। জলাভূমি দিবস কেন পালিত হয়? জলাভূমি দিবস কোন দিনে পালিত হয় এগুলো নিয়ে আজকে আমরা আলোচনা করবো। জলাভূমি নিয়ে অনেক ইতিহাস রয়েছে তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক ২রা ফেব্রুয়ারি বিশ্ব জলাভূমি দিবস সম্পর্কে বিস্তারিত।
২রা ফেব্রুয়ারি বিশ্ব জলাভূমি দিবস
আপনি কি জানেন জলাভূমি দিবস কি বা কেন পালন করা হয় এই দিনটিকে?২রা ফেব্রুয়ারি বিশ্ব জলাভূমি দিবস সম্পর্কে জানতে হলে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব বিশ্ব জলাভূমি দিবস কি, জলাভূমি দিবস কেন পালন করা হয়, জলাভূমি দিবস কাকে বলে। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক ২রা ফেব্রুয়ারি বিশ্ব জলাভূমি দিবস সম্পর্কে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ২রা ফেব্রুয়ারি বিশ্ব জলাভূমি দিবস

২রা ফেব্রুয়ারি বিশ্ব জলাভূমি দিবস

২রা ফেব্রুয়ারি বিশ্ব জলাভূমি দিবস। জাতিসংঘের আয়োজনে ১৯৯৭ সাল থেকে দিবসটি পালিত হচ্ছে। এবার ২রা ফেব্রুয়ারি বিশ্ব জলাভূমি দিবস এর মূল প্রতিপাদ্য " বনের জন্য পানি ও জলভূমি"। বিশ্বের জলাভূমি সংরক্ষণ এ জাতিসংঘের আয়োজনে ১৯৭১ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি ইরানের রামসার বিশেষ সম্মেলন শুরু হয়েছিল। সেখানকার গৃহীত স্মারকে বাংলাদেশ ও স্বাক্ষর করেছিল। তখন থেকেই প্রতিবছর ২রা ফেব্রুয়ারি বিশ্ব জলাভূমি দিবস পালিত হচ্ছে।
সকলের প্রচলিত একটি ধারণা জলাভূমি মানে পতিত জমি এর কোন মূল্য নেই। প্রকৃতপক্ষে জলাভূমি হচ্ছে প্রাকৃতিক সম্পদ এবং জীব বৈচিত্র আবাসস্থান। জলাভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হলে শস্য উৎপাদন কমার পাশাপাশি জীব-বৈচিত্র ক্ষতি হবে অনেক। এ সকল কথা চিন্তা করে ২রা ফেব্রুয়ারি বিশ্ব জলাভূমি দিবস পালন করে আসছে।

জলাভূমি কাকে বলে

আমরা অনেকেই জানিনা জলাভূমি কাকে বলে, এমনকি জলাভূমির গুরুত্ব সম্পর্কে আমাদের ধারণা কম। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক জলাভূমি কাকে বলে।সেই কারণে জলাভূমিকে আমরা শুধু পতিত জমি এবং মনে করে থাকি। জলাভূমি কথাটি ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হয়। প্রকৃত এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক ভাবে জলাভূমি সংজ্ঞা দিয়েছেন তা হলোঃ বিল, পিটল্যান্ড, প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম জলাশয়,স্রোতযুক্ত বা স্রোতহীন লবণাক্ত পানিযুক্ত এবং সে সমস্ত সামুদ্রিক এলাকা যার গভীরতা ভাটার সময় ৬ মিটার অতিক্রম করে না তাকে জলাভূমি বলে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন জলাভূমি কাকে বলে।

জলাভূমির বৈশিষ্ট্য কি

সকলের প্রচলিত একটি ধারণা জলাভূমি মানে পতিত জমি এর কোন মূল্য নেই। প্রকৃতপক্ষে জলাভূমি হচ্ছে প্রাকৃতিক সম্পদ এবং জীব বৈচিত্র আবাসস্থান। জলাভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হলে শস্য উৎপাদন কমার পাশাপাশি জীব-বৈচিত্র ক্ষতি হবে অনেক। এককথায় জলাভূমির প্রয়োজনীয়তা আমাদের অপরিসীম। জলাভূমির বৈশিষ্ট্য ও অনেকগুলো রয়েছে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক জলাভূমির বৈশিষ্ট্য কি বা কোনগুলো।
  1. জলাভূমি গুলোর মধ্যে গভীরতার পার্থক্য থাকে, তবে জলাভূমির গভীরতা জলাশয় এর মত হয় না।
  2. জলাভূমির ভূমি পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে নিচু হবে এবং এতে সারা বছর একটু হলেও পানি থাকবে।
  3. জলাভূমিতে বিশেষ জলজ উদ্ভিদ এবং জীব বাস করে যারা এই পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে চলতে সক্ষম হয়।
  4. জলাভূমির আকার প্রকৃতি পার্শ্ববর্তী জমির আকার প্রকৃতি থেকে আলাদা ধরনের হবে।
  5. জলাভূমির বাস্তুতন্ত্র জলাশয় এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্র থেকে পৃথক ধরনের হয়।
  6. জলাভূমি বছরে অন্তত পরপর সাতদিন পানিমগ্ন থাকবে।
  7. জলাভূমির আকার ক্ষুদ্র জলাশয় থেকে কয়েকশো বর্গ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে
  8. জলাভূমি বছরে অন্তত কিছু দিন জলজ উদ্ভিদ এবং জলজ জীব পাওয়া যাবে।
এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন জলাভূমির বৈশিষ্ট্য কি। জলাভূমির আমাদের প্রয়োজন রয়েছে। তাই এগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করার দায়িত্ব আমাদের।

জলাভূমির গুরুত্ব

জলাভূমির গুরুত্ব অনেক জলাভূমি থাকার কারণে আমরা অনেক প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পায়। জলাভূমিকে আমরা যত্ন করে ব্যবহার না করলেও এর গুরুত্ব অনেক রয়েছে।
তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক জলাভূমির গুরুত্ব সম্পর্কে।
  • অনেক সময় অতিবৃষ্টির কারণে অনেক সময় বা বর্ষাকালে আমাদের ফসলের জমি ডুবে যায়। এতে করে অনেকের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। অতিবৃষ্টির পানি ধরে রেখে জলাভূমি বন্যার হাত থেকে রক্ষা করে।
  • জলাভূমিতে উদ্ভিদ এবং প্রাণী চাষ এবং স্বীকার এর মাধ্যমে বহু লোকের জীবিকা নির্বাহ হয়। অনেকেই রয়েছে যারা জলাভূমিতে থামার হিসেবে ব্যবহার করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।
  • জলাভূমি ময়লা পানির প্রাকৃতিক শোধনাগার হিসাবে কাজ করে। বিভিন্ন ধরনের জৈবিক এবং রাসায়নিক দূষক পদার্থের দূর করনে জলাভূমি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। জলাভূমি কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে এবং জৈব ভূ রাসায়নিক চক্র বজায় রাখতে সাহায্য করে। এসব কারণে জলাভূমিকে প্রকৃতির বৃক্ক বলা হয়।
  • জলাভূমির নিজস্ব জীব-বৈচিত্র থাকে এবং বছরে শেষ সময়ে বহু পাখি এখানে আশ্রয় নেয় বাংলাদেশে বিভিন্ন জলাভূমিতে অনেক রকমের বিভিন্ন প্রজাতির পাখি দেখা যায়। ম্যানগ্রোভ জলাভূমিতে অবস্থিত উদ্ভিদবৈচিত্র্য মৃত্তিকার ভাঙ্গন রোধ করে।
উপরোক্ত আলোচনা সাপেক্ষে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন জলাভূমির গুরুত্ব কতটুকু।

২রা ফেব্রুয়ারি বিশ্ব জলাভূমি দিবস এর ভুমিকা

১৯৭১ সাল থেকে ২রা বিশ্ব জলাভূমি দিবস পালন করা হয়। এই দিনে কাম্পিয়ান সাগর তীরবর্তী শহর জলাভূমি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যাতে জলাভূমির আন্তর্জাতিক উপযোগিতার কথা তুলে ধরা হয়েছিল।১৯৭১ সালে প্রথমবারের মত বিশ্ব ব্যাপী এই দিবস উদযাপিত হয়। শুরু থেকেই দিবসটিকে সাহসী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে এই দিবস পালন করা হয়ে থাকে।১৯৯৭ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত কনভেনশনের ওয়েবসাইট এ ৯৫ টির অধিক দেশে গৃহীত বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। আলোচনা সভা, সেমিনার, প্রকৃতিতে শিশুদের চিত্রাঙ্কন, প্রতিযোগিতা নৌকাবাইচ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়।জাতিসংঘের আয়োজনে ১৯৯৭ সাল থেকে দিবসটি পালিত হচ্ছে। এবার ২রা ফেব্রুয়ারি বিশ্ব জলাভূমি দিবস এর মূল প্রতিপাদ্য " বনের জন্য পানি ও জলভূমি"।

২রা ফেব্রুয়ারি বিশ্ব জলাভূমি দিবস এর শেষ কথা

এতক্ষণে নিশ্চয়ই আপনি বুঝতে পেরেছেন ২রা ফেব্রুয়ারি বিশ্ব জলাভূমি দিবস সম্পর্কে। ২রা ফেব্রুয়ারি বিশ্ব জলাভূমি দিবস সম্পর্কে আপনার যদি কোন মতামত থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। বিশ্ব জলাভূমি দিবস আমাদের প্রতিজ্ঞা করা উচিত সকল জলাভূমিগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।২রা ফেব্রুয়ারি বিশ্ব জলাভূমি দিবস সম্পর্কে আপনার যদি ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন। @ 22882

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url