জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস ২০২৩ - জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস কবে

প্রিয় পাঠক আপনি কি জানেন জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস ২০২৩ - জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস কবে পালন করা হয়। যদি না জেনে থাকেন তবে আজকের পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আজকে আমরা আলোকপাত করবো জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস ২০২৩ - জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস কবে। দেশব্যাপী নানা আয়োজনে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালন করে আসছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস ২০২৩ - জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস কবে পালন করা হয়।আপনি যদি জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস কবে যে না থাকেন তবে আজকের পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আমরা অনেকেই জানিনা জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস কবে পালন করা হয়। তাই আমরা আজকে দেখে নিব জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস ২০২৩ সালের কোন তারিখে পালন করা হবে। চলুন দেখে নেওয়া যাক জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস ২০২৩ - জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস কবে পালন করা হয়।

আপনি কি জানেন জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস ২০২৩ সালে কত তারিখে পালিত হবে। তাহলে জেনে নিন জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস ২০২৩ সালের কত তারিখে পালন করা হবে। জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস ২০২৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি রবিবার অনুষ্ঠিত হবে। দেশব্যাপী নানা আয়োজনে এই দিবসটি উদযাপন করে আসছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। প্রতিবারের ন্যায় ২০২৩ সালের 5 ফেব্রুয়ারি নানা আয়োজনে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালন করা হবে। রাজধানীর শাহবাগে গ্রন্থাগার অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে দিবসটি উদ্বোধন করা হবে। বাংলাদেশের জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস ২০২৩ সালের 5 ফেব্রুয়ারি রবিবার ৬ষ্ঠ বারের মতো শুরু হবে।

আপনি কি জানেন জাতীয় গ্রন্থাগার কোথায় অবস্থিত। যদি জাতীয় গ্রন্থাগার কোথায় অবস্থিত জেনে নেয়া থাকেন তবে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।বাংলাদেশ জাতীয় গ্রন্থাগার দেশের গ্রন্থাগার ব্যবস্থার শীর্ষ প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ জাতীয় গ্রন্থাগার বিচারপতি এস এম মোরসেদ সরনি আগারগাঁওয়ে অবস্থিত। বাংলাদেশ জাতীয় গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৭৩ সালে এবং এর স্থপতি ছিলেন মাজহারুল ইসলাম।

জাতীয় গ্রন্থাগার এর মূল কাজ হলো বাংলাদেশের সকল প্রকাশনা সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা এবং সেগুলির যথাযথ ব্যবস্থা এবং গবেষক ও পাঠকদের কাছে এসে বলে প্রাপ্তিসাধ্য করে তলায় হচ্ছে এর মূল কাজ। আলোচনা সাপেক্ষে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন জাতীয় গ্রন্থাগার কোথায় অবস্থিত।

প্রিয় পাঠক আপনি কি জানেন জাতীয় গ্রন্থাগার কাকে বলে। যদি না জেনে থাকেন তাহলে জেনে নিন জাতীয় গ্রন্থাগার কাকে বলে। গ্রন্থাগার শব্দের উৎপত্তি হয়েছে মূলত ল্যাটিন শব্দ থেকে। যার অর্থ বই রাখার স্থান। গ্রন্থাগার বলতে সাধারণত বোঝাচ্ছে যেখানে তথ্য সামগ্রী সংগ্রহ করা হয়, সংরক্ষণ করা হয় এবং চাহিদা অনুযায়ী দ্রুত পাঠক কে প্রদান করা হয় তাকে গন্থাগার বলে। আর জাতীয় গ্রন্থাগার বলতে বোঝায় দেশের সকল প্রকাশনা সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা এবং সেগুলির যথাযথ ব্যবস্থা এবং গবেষক ও পাঠকের কাছে সেগুলো উপস্থাপন করা। এককথায় মুদ্রিত বই সাময়িকী অথবা অন্য যেকোন চিত্র সমৃদ্ধ বা শ্রবণ-দর্শন একটি সংগঠিত সংগ্রহ হলো গ্রন্থাগার।

সেনগুপ্ত ও চক্রবর্তী এর মতে গ্রন্থাগার হলো এমন একটি সংগঠন যেখানে বই, পত্রপত্রিকা সমজাতীয় উপকরণ ব্যবহারের উদ্দেশ্যে সংগ্রহ করা হয়। জাতীয় গ্রন্থাগার সাধারণত দেশের সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকে। দেশের সকল নাগরিক সেখানে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের পাঠ্যপুস্তক পড়তে পারে বা ধারণা নিতে পারে। এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন জাতীয় গ্রন্থাগার কাকে বলে।

আপনি কি জানেন জাতীয় গ্রন্থাগার কি? যদি জেনে থাকেন তবে অবশ্যই এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন কানের পর্বে আমরা আলোচনা করব জাতীয় গ্রন্থাগার কি এই নিয়ে। জাতীয় গ্রন্থাগার সাধারণত দেশের সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকে। অন্যান্য গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠার পেছনে যে সকল কারণ বিদ্যমান, এক্ষেত্রেও তার সবগুলো কারণ বিদ্যমান রয়েছে। তবে জাতীয় গ্রন্থাগার পরিচালনার ক্ষেত্রে কিছুটা পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। আর এই পরিবর্তনের কারণ জাতীয় পর্যায়ের গ্রন্থাগার অন্য আর দশটি গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠান থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এটি একটি নন ল্যান্ডিং প্রতিষ্ঠান। জাতীয় গ্রন্থাগার এমন একটি প্রতিষ্ঠান যার সংগ্রহের পরিধি জাতীয়ভিত্তিক গুরুত্ব আন্তর্জাতিক এবং দেশ ও জাতি সম্পর্কে দেশি-বিদেশি সকল প্রকাশনা সংগ্রহ করে জাতীয় ঐতিহ্য সংরক্ষণ করা এর প্রধান বৈশিষ্ট্য। আশা করে এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন জাতীয় গ্রন্থাগার কি।

অনেকেই জাতীয় গ্রন্থাগারের ইতিহাস সম্পর্কে জানেনা। আপনি যদি জাতীয় গ্রন্থাগার এর ইতিহাস সম্পর্কে জানতে চান তবে অবশ্যই এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর পাকিস্তান সরকার ১৯৬৭ সালে ঢাকায় পাকিস্তান সরকারের জাতীয় গ্রন্থাগারের প্রদেশিক শাখা প্রতিষ্ঠা করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর একটি নতুন জাতির জন্য একটি জাতীয় গ্রন্থাগার অপরিহার্য হয়ে পড়ে। গুরুত্ব এবং প্রয়োজন বিবেচনা করে সেই সময় সরকার ঢাকায় জাতীয় গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৭৪ সালের ৩ জানুয়ারি সরকার জাতীয় আর্কাইভস ও জাতীয় গ্রন্থাগার এর জন্য শেরেবাংলা নগরে ২ একর করে মোট ৪ একর জমি বরাদ্দ করে।

প্রথমে পাঁচশালা পরিকল্পনার আওতায় জাতীয় আর্কাইভস ও জাতীয় গ্রন্থাগারের স্থায়ী ভবন নির্মাণের জন্য সরকারের নিকট প্রকল্প প্রস্তাব দাখিল করা হয়। গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠার প্রথমের দিকে আগে অর্থাৎ পূর্বের ঢাকার প্রদেশিক শাখা টি থেকে বই,জনশক্তি, সম্পদ এবং উপকরণ নিয়ে কাজ শুরু করা হয়। ১৯৮৫ সালের দিকে বাংলাদেশ জাতীয় গ্রন্থাগার আগারগাঁও তার নিজস্ব ভবনে কার্যক্রম শুরু করে। আশাকরি এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন জাতীয় গ্রন্থাগার এর ইতিহাস সম্পর্কে।

জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস ২০২৩ - জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস কবে এই পর্বটি আশা করি বুঝতে পেরেছেন। সভ্যতার অগ্রযাত্রার মানুষের নির্ভরযোগ্য একটি সঙ্গী গ্রন্থাগার। জ্ঞান সৃষ্টি, জ্ঞান সংরক্ষণ এবং এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মের জ্ঞানের প্রবাহ নিশ্চিত করেছে গ্রন্থাগার। সেইসঙ্গে সমাজের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে মানবসভ্যতাকে সমৃদ্ধ করেছে। জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস ২০২৩ - জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস কবে এই সম্পর্কে আপনার যদি কোন মতামত থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আজকের পর্বটি ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন। @ 22882