অমর একুশে ফেব্রুয়ারি

আপনি কি অমর একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আজকের পোস্ট আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অমর একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। "আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি"। এই দিনটি  বীর যোদ্ধার মাতৃভাষার জন্য যুদ্ধ করে আমাদের এই মাতৃভাষা দিবস এনেছে। হাজারো বীর যোদ্ধারা অমর একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের জন্য উপহার দিয়েছেন। তাহলে দেরি না করে জেনে নেয়া যাক, অমর একুশ ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে।

অমর একুশে ফেব্রুয়ারি

প্রিয় বন্ধুরা, আজকের পোস্টে আপনাদের জন্য অমর একুশে ফেব্রুয়ারি অনুচ্ছেদ, কত সালে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি পালিত হয়ে আসছে, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কবে স্বীকৃতি পায় কত তম অধিবেশনে, একুশে ফেব্রুয়ারিতে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য, একুশে ফেব্রুয়ারি তাৎপর্য, প্রথম আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কবে পালিত হয়, একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে ১০টি বাক্য, অমর একুশে ফেব্রুয়ারী রচনা বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই আপনারা অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ইতিহাস জানতে শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গেই থাকুন।

অমর একুশে ফেব্রুয়ারি সংক্ষেপে

"উপস্থাপনা"

বন্ধুরা, আজকের পোস্টে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি আলোচনা করব। অমর একুশে ফেব্রুয়ারি দিনে শহীদ সন্তানের মহান আত্মত্যাগ জাতিকে মহিমান্বিত ও সচেতন করেছে কিন্তু পরিবারের পিতা-মাতা ভাই বোনের জন্য বয়ে রয়েছে স্বজন হারানোর দুঃখ। তবু এই মৃত্যু মাতৃভাষার জন্য মানুষ তার জন্ম ও মনুষ্যত্ব নিয়ে যে ভাষার গৌরব ব্যক্ত করে, তারই সম্মানের জন্য এই আত্মবিসর্জনে পেয়েছি অমর একুশে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা বাংলা। তাদের মৃত্যু সমগ্র দেশকে একতাবদ্ধ করে গেছে। অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষার অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই পরবর্তী সব লড়াইয়ের কেন্দ্রবিন্দু ও উৎসে রূপান্তরিত হয়েছে অর্থাৎ দ্রোহ চেতনার উজ্জীবন ঘটেছে। এখানে অমর একুশে ফেব্রুয়ারির রাজনৈতিক তাৎপর্যের গভীরতায় ব্যক্ত করা হয়েছে। মানুষ আজ অমর একুশে ফেব্রুয়ারি শপথে উদ্বৃত্ত হয়ে জীবন মৃত্যুর সন্ধি লগ্নে ইতিহাসের নবযুগের উপনীত। একদিকে স্বজন হারা পরিবারের বেদনা অন্যদিকে দেশের বৃহত্তর জনজীবন দেশের মানুষ অমর একুশে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষার লড়াই থেকে অর্জন করতে পেরেছে। তার দাবিও অধিকারের পরবর্তী সংগ্রাম ও রচনা করেছে মুক্তির ইতিহাস।

অমর একুশে ফেব্রুয়ারি অনুচ্ছেদ

বন্ধুরা, অমর একুশে ফেব্রুয়ারি দিনটিতে ১৯৫২ সালে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্দোলন সংঘটিত হয়। মাতৃভাষা রক্ষার দাবিতে সেদিন যারা আন্দোলন করেছিলেন, পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর নির্যাতনের শিকারে হয়েছেন, নিজের জীবন দিয়েেছে মাতৃভাষা মর্যাদা রক্ষার  জন্য তারা হলেন সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার এবং নাম না জানা আরও অনেকেই। যারা সংগ্রামের মাধ্যমে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর কাছ থেকে এনেছে বাংলার স্বাধীনতা মাতৃভাষা বাংলা ''মা'' বলে ডাকার অধিকার।

কত সালে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি পালিত হয়ে আসছে

১৯৫২ সালে থেকে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি পালিত হয়ে আসছে। অমর একুশে ফেব্রুয়ারির দিনে শহীদ সন্তানের মহান আত্মত্যাগ জাতিকে মহিমান্বিত ও সচেতন করেছে কিন্তু পরিবারের পিতা-মাতা ভাই বোনের জন্য বয়ে রয়েছে স্বজন হারানোর দুঃখ। তবু এই মৃত্যু মাতৃভাষার জন্য মানুষ তার জন্ম ও মনুষ্যত্ব নিয়ে যে ভাষার গৌরব ব্যক্ত করে, তারই সম্মানের জন্য এই আত্মবিসর্জনে পেয়েছি অমর একুশে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা বাংলা।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কবে স্বীকৃতি পায় কত তম অধিবেশনে

২০১০ সালের ২১শে অক্টোবর রোজ বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৬৫ তম অধিবেশনে প্রতিবছর অমর একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস জাতিসংঘ থেকে সবার সম্মতিতে প্রস্তাবটি পাস হয়েছে ।

একুশে ফেব্রুয়ারিতে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য

অমর একুশে ফেব্রুয়ারি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য হলোঃ বাংলাদেশের বাংলাভাষা বাংলার মাতৃত্বের প্রয়োজনে আত্মহত্যাগ করা শপথ গ্রহণের দিন অমর একুশে ফেব্রুয়ারি। তাই প্রতিবছর অমর একুশে ফেব্রুয়ারির এই দিনে বাঙালি জীবনে বাংলা ভাষার অমর একুশে ফেব্রুয়ারি দিবসটি পালন হয়ে আসছে। প্রতিবছর আমরা এই রাষ্ট্রভাষা বাংলার আন্দোলনের দিনে একত্রিত হই এবং শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই শহীদ মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতি স্মরণে। প্রতি বছর অমর একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের মনে শক্তি ও সাহস যোগায় দেশপ্রেম ও ভাষা চেতনাকে বারবার মনে করে দেয়। তাই এই দিনটিকে মনে করে বলা যায়ঃ অমর একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের অহংকার, গৌরব, জাতিসত্তা প্রেরণার স্থান।

একুশে ফেব্রুয়ারি তাৎপর্য

অমর একুশে ফেব্রুয়ারি তাৎপর্য বলতে বাংলাদেশের পশ্চিমবঙ্গের তথা সমস্ত বাংলা ভাষার জনগণের গৌরবময়ের একটি দিন। অমর একুশে ফেব্রুয়ারি এই দিনটি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশের বাঙালির বাংলা মাতৃভাষা ও জনগণের বাংলা ভাষা মর্মে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি স্মৃতিজড়িত গৌরবময়ের জন্য দিনটি চিহ্নিত করা হয়েছে।

প্রথম আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কবে পালিত হয়

অমর একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়। ১৯৫২ সালে আন্দোলন সংগ্রাম সংঘটিত হওয়ার মাধ্যমে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর কাছ থেকে প্রথম আন্তর্জাতি মাতৃভাষা দিবস একুশে ফেব্রুয়ারি পরিচিত লাভ করে।

একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে ১০টি বাক্য

অমর একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের স্মৃতিময় ,গৌরবময় ও স্মরণীয় একটি দিন । ১৯৫২ সালে বাংলাভাষার আন্দোলনের সংগ্রাম করার মাধ্যমে রাষ্ট্রভাষা বাংলা জাতিসংঘে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে সুপরিচিত হয়। ১৯৯৯ সালে ১৭ ই নভেম্বর ইউনেস্কো বাংলা ভাষার এই মাতৃভূমিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। অমর একুশে ফেব্রুয়ারির ভাষা সংগ্রামে শহীদ সন্তানদের জন্য মাতৃ হৃদয়ের বেদনার সঙ্গে মিলে আছে সুশৃংখল লুণ্ঠিত স্বদেশমাত্রার রূপমূর্তি।

অমর একুশে ফেব্রুয়ারি রচনা

বাংলাদেশের মাতৃভূমির সন্তানের নাম উচ্চারণের মধুর আনন্দ থেকে মাতৃকণ্ঠ বঞ্চিত। শাসকের দমনও হত্যা তার কন্ঠকে করেছে রুদ্ধ। অমর একুশে ফেব্রুয়ারি এই দিনে শহীদ বরকত, সালাম, রফিক উদ্দিন, জব্বার নাম গুলো এখন তীর্থ বর্ষার ফলার মত বেদনায় বিদ্ধ করেছে দেশের হৃদয়কে। তারা অকালবিচ্ছেদের শিকার, পথিক্রিয়াশীল শত্রু তাদেরকে হননের মধ্যে দিয়ে মানুষত্বকে অমর একটি ফেব্রুয়ারিতে পর্যুদস্ত করেছে। কিন্তু তাদের এই মৃত্যু দেশের আত্মাকে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি আরো অশান্ত ও প্রদীপ করে তুলেছে, দেশের মানুষকে দীক্ষা দিয়ে গেছে সংগ্রাম ও আত্মত্যাগে উদ্বুদ্ধ হওয়ার জন্য। অমর একুশে ফেব্রুয়ারি বীর শহীদদের নামগুলো একই সঙ্গে বেদনা ও অগ্নিশিখার মত পর্যন্ত প্রজ্বলিত।

অমর একুশে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা সংগ্রাম কবি কে করেছে স্বদেশচেতন ইতিহাস লগ্ন এবং জীবন সংগ্রামী। কারণ অমর একুশে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা লড়াই থেকে তিনি দেশের মূল ও বিস্তৃত  প্রাণপ্রবাহের সঙ্গে একান্ত হওয়া দীক্ষা গ্রহণ করেছেন। জনতার গভীর হৃদয়ে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি কবিতার শুকনো অনুভূতিকে চারার মতো রোপন করেছেন। যা সোনালী ফসলে রূপান্তরিত হবে। কবির ঘটেছে আগমন এই দেশের পটভূমিতে রয়েছে কৃষক-শ্রমিকজনতা জীবন সংগ্রামের সুকঠিন ক্ষেত্র, প্রকৃতির নদী-মাঠ-আকাশে কবি অমর একুশে ফেব্রুয়ারি মহিমায় আত্মসজাগ ও পরিশুদ্ধ হয়ে এই সুবিশাল দেশপ্রাণকে উপলব্ধি করতে পেরেছেন।

সর্বশেষ কথা - অমর একুশে ফেব্রুয়ারি 

অমর একুশে ফেব্রুয়ারীর ভাষা আন্দোলনের শিক্ষাময় অভিজ্ঞান। চেতনা আবেগ ও জীবন বাসনা ব্যর্থ হয়েছে উপমা বন্যার বিস্তৃত বটে এবং তাতে বেশি চিত্রিত হয়েছে বাংলাদেশ ও জাতির ইতিহাস পরমপরার সংকেত। জাতিসত্তার স্বরূপ আকাঙ্ক্ষার রূপটি উন্মোচনের মধ্য দিয়ে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের মনে অঙ্গীকারের দীপ্ত রূপ ও দ্রোহচেতনা আবদ্ধ করেছে।

বন্ধুরা, আজকের পোস্টে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করেছি। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থেকে শেষ পর্যন্ত পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url