শাওয়াল মাসের রোজা ২০২৩ - শাওয়াল মাসের রোজা কখন রাখতে হয়

শাওয়াল মাসের রোজা ২০২৩ ও শাওয়াল মাসের রোজা কখন রাখতে হয় - প্রিয় পাঠক, আজকের পোস্টে আমি আপনাদের সাথে শাওয়াল মাসের রোজা ২০২৩ ও শাওয়াল মাসের রোজা কখন রাখতে হয় এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। অনেকে আছেন যারা শাওয়াল মাসের রোজা করতে চান। কিন্তু শাওয়াল মাসের রোজা ২০২৩ ও শাওয়াল মাসের রোজা কখন রাখতে হয় এ বিষয়ে অবগত নন। আজকের পোস্টটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আজকের পোস্টটি পড়লে শাওয়াল মাসের রোজা ২০২৩ ও শাওয়াল মাসের রোজা কখন রাখতে হয় তা সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে নেয়া যাক, শাওয়াল মাসের রোজা ২০২৩ ও শাওয়াল মাসের রোজা কখন রাখতে হয় সম্পর্কে।

শাওয়াল মাসের রোজা ২০২৩ - শাওয়াল মাসের রোজা কখন রাখতে হয়

আমাদের আজকের আর্টিকেল শাওয়াল মাসের রোজা ২০২৩ ও শাওয়াল মাসের রোজা কখন রাখতে হয় মনোযোগ সহকারে পড়লে। শাওয়াল মাসের রোজা ২০২৩ ও শাওয়াল মাসের রোজা কখন রাখতে হয় এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন। এক নজরে সূচিপত্রে দেখে নেয়া যাক, আজকের পর্বে কি কি থাকছে।

শাওয়ালের অর্থ ও তাৎপর্য

শাওয়াল আরবি শব্দ। শাওয়ালের শব্দের অর্থ হল দায়মুক্ত ব্যক্তি, প্রার্থনা হস্ত উত্তোলন করা, উঁচু করা, উন্নতকরণ, পাল্লা ভারী হওয়া, গৌরব করা, উন্নত ভূমি, পূর্ণতা, ফলবতী, বিজয় হওয়া, পাত্রে অবশিষ্ট সামান্য পানি, ফুরফুরে ভাব, সিজন করা কাঠ।

শাওয়াল সাথে এ সকল অর্থের সম্পর্ক আছে। শাওয়াল মাসের আমল করলে অনেক উন্নতি হয়ে থাকে। নেকির পাল্লা ভারী হয়। গৌরবময় ও কাজে সফলতা আসতেই থাকে।

শাওয়াল মাসে রোজা রেখে আল্লাহর ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহতালার কাছে কিছু চাইলে আল্লাহ তাআলা তাকে সেই চাওয়ার ফল দান করে। রমজানের এক মাস রোজা রাখার পর শাওয়ালের ছয়টি রোজা করলে বিশেষ সওয়াব রয়েছে। ফরজ রোজা পালন করার পর নফল রোজা করার আগ্রহ অনেকটা বেড়ে যায়। নিজের সাফল্যতা ও স্থিতি ধরে রাখতে এ সকল শাওয়াল তাৎপর্য।

শাওয়াল মাস ইংরেজি কোন মাস ২০২৩

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, বাংলাদেশে বসবাস করলেও ইংরেজি ভাষার সাথে বেশি সম্পর্ক থাকার কারণে আমরা ইংরেজি মাস বেশি ফলো করে থাকি। আর তাই আপনারা যারা জানতে চেয়েছেন শাওয়াল মাস ইংরেজি কোন মাস ২০২৩ সম্পর্কে। আপনার সুবিধার্থে নিচে জানানো হলো শাওয়াল মাস ইংরেজি কোন মাস ২০২৩ সম্পর্কে।

শাওয়াল মাস ইংরেজি কোন মাস জানতে হলে শাওয়াল মাসের ইংরেজি ক্যালেন্ডার দেখতে হবে। এপ্রিল মাসের ২২ তারিখ ১লা শাওয়াল এবং মে মাসে ২১ তারিখ শাওয়াল মাসের শেষ। অর্থাৎ শাওয়ালের ৩০ তারিখ।

শাওয়াল মাসের রোজার ফজিলত - শাওয়াল মাসের ফজিলত - শাওয়াল মাসের ৬ রোজার ফজিলত

বন্ধুরা, আপনারা যারা শাওয়াল মাসের রোজার ফজিলত, শাওয়াল মাসের ফজিলত, শাওয়াল মাসের ছয় রোজার ফজিলত জানতে চেয়েছেন। তাদের জন্য আমাদের আজকের আর্টিকেল শাওয়াল মাসের রোজা ২০২৩ ও শাওয়াল মাসের রোজা কখন রাখতে হয় এই পর্বে আপনাদের জন্য শাওয়াল মাসের রোজার ফজিলত সম্পর্কে জানানো হলো।

রমজান মাসের পরের মাস অর্থাৎ হিজরি সনের দশম মাস হলো শাওয়াল মাস। এ মাসের প্রথম দিনে মুসলিম উম্মার সর্ববৃহৎ জাতীয় উৎসব, ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। উৎসব আনন্দে মুসলমানগণ যাতে রমজানের মহৎ শিক্ষাটা ভুলে না যায়, হয় তো সে জন্যই রাসুলে করিম (সা.) এ মাসে ছয়টি নফল রোজা রাখতে উম্মতকে উৎসাহিত করেছেন।

হযরত আবু আইয়ুব আনসারী (রা.) একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি রমজান মাসের সব ফরজ রোজাগুলো রাখল অতঃপর শাওয়াল মাসে আরও ছয়টি রোজা রাখল, সে যেন সারাবছর ধরেই রোজা রাখল। (সহীহ মুসলিম, হাদীস: ১১৬৪)

আলোচ্য হাদিসে যে বিষয়টি বিশেষভাবে লক্ষণীয়, তা হলো- শুধু শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজা রাখলেই এক বছরের নফল রোজার সওয়াব পাওয়া যাবে তেমনটি নয়। আবার শুধু মহিমাম্বিত রমজানে পুরো একমাস রোজা রাখলেও এক বছরের নফল রোজার সওয়াব দেওয়া হবে সে কথাও কোথাও বলা হয়নি। বরং পুরো রমজান মাস রোজা রাখার পরে শাওয়াল মাসে আরও ছয়টি রোজা রাখলে তবেই পূর্ণ এক বছর নফল রোজা রাখার সওয়াব লাভ করা যাবে সে কথাই হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন।

বস্তুত হাদিসে পবিত্র কোরআনে একটি আয়াতের বক্তব্য বিবৃত হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যে কেউ কোন নেক আমল করবে তাকে তার দশ গুণ সওয়াব প্রদান করা হবে। ’ (সুরা আল-আনআম: ১৬০) সুতরাং রমজানের এক মাসের ১০ গুণ হলো দশ মাস আর শাওয়াল মাসের ছয়দিনের দশগুণ হলো ৬০ দিন অর্থাৎ দুইমাস।

অর্থাৎ এক বছরের নফল রোজার সওয়াব লাভের জন্য রমজানের রোজা রাখার পরে শাওয়াল মাসের ছয় রোজা রাখার শর্ত থাকলেও যদি কেউ কোনো কারণে রমজানের এক মাস রোজা রাখতে না পেরে থাকেন, তাহলে শাওয়াল মাসের ছয় রোজা রাখা যাবে না তেমনটি নয়। সে ক্ষেত্রে এক বছরের নফল রোজার সওয়াব না পেলেও নফল রোজা পালনের সীমাহীন নেকি তিনি পাবেন।

শাওয়াল মাসে রোজা সম্পর্কে হাদিস

বন্ধুরা, আপনাদের জন্য আমাদের আর্টিকেলে শাওয়াল মাসের রোজা ২০২৩ ও শাওয়াল মাসের রোজা কখন রাখতে হয় এ পর্বে থাকছে শাওয়াল মাসের রোজা সম্পর্কে হাদিস।

আল্লাহু কোরআনের রমজান মাসে রোজা সম্পর্কে বলেন তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি সফরে থাকবে কিংবা অসুস্থ থাকবে সে যেন রমজানের পর অন্য দিনগুলোতে রোজা রাখতে পারবে। (সূরা বাকারা আয়াতঃ ১৮৪) যারা রমজানের রোজা সফর কিংবর্শতার কারণে রোজা রাখতে পারেননি। তারা রোজা হলো রমজান মাসের পর অন্য সময়ে আদায় করে নেবে। মহিলাদের ঋতুমতি ও এই অসুস্থতার মধ্যে শামিল হয় মা ও আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এর বিষয়ে বলেন আমরা ঋতময়ী হতাম হযরত মোহাম্মদ সাঃ এর যুগে।

তখন এই রোজা কাজা আদায় করে নির্দেশ দেয়া হলো। কিন্তু নামাজ কাজা আদায় করার কথা বলা হয়নি। অর্থাৎ নামাজ এই অবস্থাতে মাফ করা হলেও রোজা কিন্তু মাফ করা হয়নি। পরে আদায় করে নিতে হবে। (বুখারী ও মুসলিম মিশকাত হাদিস ২০৩২)। হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু বলেন রমজানে যে রোজা আমরা উপর বাকি থাকতো তা পরবর্তী শাওয়াল মাস ছাড়া আদায় করতে আমি পারতাম না। (বুখারি হাদিসঃ ১৯৫০ মুসলিম হাদিসঃ ১১৪৬)

শাওয়াল মাসের রোজা রাখার নিয়ম - শাওয়াল মাসের রোজা ২০২৩ ও শাওয়াল মাসের রোজা কখন রাখতে হয়

পাঠক বন্ধুরা, আপনারা যারা শাওয়াল মাসের রোজা রাখার নিয়ম জানতে চেয়েছেন। তাদের জন্য আমাদের আজকের আর্টিকেল শাওয়াল মাসের রোজা ২০২৩ ও শাওয়াল মাসের রোজা কখন রাখতে হয় এই পর্বে আপনাদের জন্য শাওয়াল মাসের রোজা রাখার নিয়ম সম্পর্কে জানানো হলো।

হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) শাওয়াল মাসের ভেতর ছয় রোজা রাখার কথা বলেছেন। মাসের প্রথম দিকে, মধ্যভাগে না শেষাংশে সে কথা হাদিসে উল্লেখ নেই। আবার ছয়টি রোজা একসঙ্গে লাগাতার রাখতে হবে, না-কি বিরতি দিয়ে দিয়ে রাখতে হবে, সে কথারও কোনো উল্লেখ নেই। আলেমগণের মত হল, শাওয়াল মাসের প্রথম দিন মুসলিম উম্মাহর জাতীয় উৎসব এবং ওই দিনে রোজা রাখা হারাম, সেহেতু ঈদুল ফিতরের দিনটি বাদ দিয়ে মাসের যে কোনো ছয়দিনে রোজা রাখলেই উল্লিখিত সওয়াব লাভ করা যাবে।

এই আরবি শাওয়াল মাসের অর্থাৎ প্রথমদিকে, মাঝামাঝি দিনগুলোতে অথবা শেষদিকে, আবার একাধারে ছয়দিন বা একদিন রোজা রেখে তারপর একদিন বা দু’দিন বিরতি দিয়ে আবার একদিন যে কোনোভাবে রোজা রাখা যাবে। শাওয়াল মাসের মধ্যে ছয়টি রোজা রাখলেই হাদিসে বর্ণিত সওয়াব পাওয়া যাবে, ইনশাল্লাহ।

শাওয়াল মাসে বিয়ে করা সুন্নত

শাওয়াল একটি মর্যাদাসম্পন্ন মাস। কুরআনে বর্ণিত চার সম্মানিত মাসের একটি। শাওয়াল মাসে বিয়ে করা সুন্নত বা মুস্তাহাব এ কথা প্রচলিত আছে। এটির কোন ভিত্তি নেই। শাওয়াল মাসে কোন আলাদা করে বিয়ে করার ফজিলত মজাদার কথা কুরআন বা হাদিসে কোথাও উল্লেখ করা নেই।

বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর বিয়ে বছরের বিভিন্ন মাসে হয়েছে। বিয়ের ক্ষেত্রে যদি শাওয়াল মাসে বিশেষ ফজিলত থাকতো তাহলে হযরত মুহাম্মদ সাঃ এই শাওয়াল মাসে বিয়ে করার চেষ্টা করতেন কিন্তু হাদিস বা কিতাবে এমন কোন কথা কোথাও এখনো উল্লেখ পাওয়া যায়নি।

হাদিস থেকে অনেকে ধারণা করেন শাওয়াল মাসে বিয়ে করা সুন্নত। তবে এটি সঠিক নয় বরং জাহিদী যুগের কুপ্রথা বন্ধে আয়েশা রাঃ বলেন, শাওয়াল মাসে বিয়ে করা যদি মুস্তাহাব হত। তাহলে হযরত মুহাম্মদ সাঃ সব বিয়ে এই মাসে করতেন। উম্মতকে এ মাসে বিয়ে করতে উৎসাহিত করতেন। সাহাবীগণও এ মাসে বিয়ে করার চেষ্টা করতেন। কিন্তু হাদিসের কিতাবগুলোতে এমন কোন তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।

সর্বশেষ কথাঃ শাওয়াল মাসের রোজা ২০২৩ - শাওয়াল মাসের রোজা কখন রাখতে হয়

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, যারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের আজকের আর্টিকেল শাওয়াল মাসের রোজা ২০২৩ ও শাওয়াল মাসের রোজা কখন রাখতে হয় এ বিষয়ে মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। তারা নিশ্চয়ই শাওয়াল মাসের রোজা ২০২৩ ও শাওয়াল মাসের রোজা কখন রাখতে হয় এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এছাড়াও আরো শাওয়ালের অর্থ ও তাৎপর্য, শাওয়াল মাস ইংরেজির কোন মাস ২০২৩, শাওয়াল মাসের রোজার ফজিলত, শাওয়াল মাসের ছয় রোজার ফজিলত, শাওয়াল মাসের রোজা সম্পর্কে হাদিস, শাওয়াল মাসের রোজা রাখার নিয়ম, শাওয়াল মাসে বিয়ে করা সুন্নত জানিয়েছি।

আশা করি, আজকের পোস্টটি পড়ে আপনারা অনেক উপকৃত হয়েছেন। আজকের পোস্টটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে। তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থেকে শেষ পর্যন্ত পোস্টি পড়ার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম আর পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন