২০২৩ সালে রোজার ঈদ কবে - ঈদুল ফিতর ২০২৩ কত তারিখে বাংলাদেশ
আমাদের আজকের আর্টিকেলের আলোচ্য বিষয় হলো ২০২৩ সালে রোজার ঈদ কবে-ঈদুল ফিতর ২০২৩ কত তারিখে বাংলাদেশ। আপনি যদি জানতে চান ২০২৩ সালে এই বছরের ঈদ কত তারিখে তাহলে আজকের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কেননা আজকের পোস্টে আমরা ২০২৩ সালে রোজার ঈদ কবে-ঈদুল ফিতর ২০২৩ কত তারিখে বাংলাদেশ বিস্তারিত বিষয় নিয়ে সাজিয়েছি।
২০২৩ সালে ঈদুল ফিতর কত তারিখে ছাড়াও আপনাদের জন্য রয়েছে, ঈদুল ফিতর কি, ২০২৩ সালের ঈদুল ফিতর কবে, ঈদুল ফিতর ২০২৩ কত তারিখে বাংলাদেশ, ২০২৩ সালে রোজার ঈদ কত তারিখে, ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ত, ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম, ঈদুল ফিতরের নামাজ কয় রাকাত, ঈদের নামাজ কি ওয়াজিব, ঈদুল ফিতরের হাদিস, ঈদের ইতিহাস, ঈদুল ফিতরের সুন্নাহ। তাহলে দেরি না করে চলুন, ২০২৩ সালে রোজার ঈদ কবে-ঈদুল ফিতর ২০২৩ কত তারিখে বাংলাদেশ জেনে নিন।
পেজের সূচিপত্র
ঈদুল ফিতর কি
ঈদুল ফিতর (ইংরেজিঃ Eid-Al-Fitr-আরবিঃ عيد الفطر) মুসলমানদের বড় দুটি ধর্মীয় উৎসব হল ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা। প্রতিবছর মুসলমানরা একমাস পবিত্র রোজা করার পর এই ঈদুল ফিতরের দিনটি উদযাপন করে থাকেন। এবং ঈদুল আযহার কোরবানির করার মাধ্যমে উদযাপন করে থাকে। ধর্মীয়ভাবে ইসলামিক পরিভাষায় ঈমামুল জায়েজ বলা হয়েছে।
ঈদুল ফিতরের দিন সারা বিশ্বের মুসলমানের জন্য একটি আনন্দময় একটি দিন। ঈদুল ফিতরের দিনে মুসলিম রীতি অনুযায়ী রোজা রাখা নিষেধ করা রয়েছে। এক কথায় রোজা রাখা হারাম। ঈদুল ফিতরের দিনে সবাই ঝরগা বিভেদ ভুলে এই আনন্দের দিনটা সবাই একত্রে উদযাপন করা হয়। এছাড়া যারা জীবিকা নির্বাহের জন্য শহরে থাকে ঈদুল ফিতরের ছুটিতে অনেক দূর দূরান্ত থেকে নিজের বাড়িতে এসে বাবা, মা, ভাই, বোন সাথে ঈদুল ফিতর উদযাপন করেন।
ঈদের দিনে সবাই পোলা,কোর্মা, সেমাই, বিরিয়ানি, পরোটা, খিচুড়ি উপভোগ করে থাকেন। এরপর আরো জানতে পারবেন ২০২৩ সালে রোজার ঈদ কবে-ঈদুল ফিতর ২০২৩ কত তারিখে বাংলাদেশ তা সম্পর্কে। যাইহোক, ঈদুল ফিতর ২০২৩ কত তারিখে বাংলাদেশ-২০২৩ সালে রোজার ঈদ কবে জানতে শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থেকে মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
২০২৩ সালে ঈদুল ফিতর কবে
আপনাদের মধ্যে যারা ২০২৩ ঈদুল ফিতর কবে জানতে চেয়েছেন বা ঈদুল ফিতর ২০২৩ কত তারিখে বাংলাদেশ। এখন তাদেরকে বলব ২০২৩ সালে রোজার ঈদ কবে-ঈদুল ফিতর ২০২৩ কত তারিখে বাংলাদেশ নিচে বিস্তারিত দেওয়া হল।
যারা ২০২৩ সালে রোজার ঈদ কবে-ঈদুল ফিতর ২০২৩ কত তারিখে বাংলাদেশ এ প্রশ্নটি সম্পর্কে গুগলে সার্চ করেছেন তাদের উত্তর হলো ২১ এপ্রিল (চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল)। আরবি মাসের হিজরী ক্যালেন্ডার দেখে তাকালে দেখা যায় ইংরেজি ২৩ শে মার্চ রমজান শুরু এবং ২০ শে এপ্রিল রমজান মাসের শেষ রোজা হয় তাহলে ২১ শে এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। যাইহোক, বাকিটা চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল।
২০২৩ সালে রোজার ঈদ কবে-ঈদুল ফিতর ২০২৩ কত তারিখে বাংলাদেশ এ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এখন আমরা জানবো ২০২৩ সালের রোজার ঈদ কত তারিখে।
২০২৩ সালের রোজার ঈদ কত তারিখে
ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ত
ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম
প্রথম রাকাতে ইমামের সঙ্গে তাকবীর তাহরীমা আল্লাহু আকবার বলে উভয় হাত
বাধা। তাকবীরে তাহরিমা পর সানা পড়া। ছানা হলোঃ সুবহানাকা
আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা হুয়া তাবারাকাস্মুকা ওয়াতায়ালা জাদুকা ওয়া লা
ইলাহা গাইরুকা।
তারপরে অতিরিক্ত 3 তাকবীর দেওয়া। প্রথম ও দ্বিতীয় তাকবীরে উভয় হাত উঠে
তা ছেড়ে দেওয়া। তৃতীয় তাকবীর দিয়ে উভয় হাত তাকবীর তাহরিমার মত বেঁধে
নেওয়া। এরপরে নিয়মিত নামাজের মত রুকুও সেজদার মাধ্যমে প্রথম রাকাত ওয়াজিব
নামাজ শেষ করা।
দ্বিতীয় রাকাতে সূরা পাঠ করার পর অতিরিক্ত তিন তাকবীর দেওয়া প্রথম ও দ্বিতীয়
তাকবীরে উভয় হাত উঠিয়ে তা ছেড়ে দেওয়া।
তৃতীয় তাকবীর দিয়ে উভয় হাত তাকবীর তাহরিমার মত বেঁধে নেওয়া। এরপর রুকু
তাকবীর দিয়ে রুকুতে যাওয়া। অতঃপর সেজদা আদায় করা। বৈঠকে বসা অবস্থায় দুরূদ
শরীফ পাঠ করা, দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফিরানোর মাধ্যমে নামাজ সম্পন্ন
করা। সালাম ফেরানোর পর তাকবির পড়া।
উচ্চারণঃ আল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু হুয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ।
ঈদুল ফিতরের নামাজ কয় রাকাত
ঈদুল ফিতরের নামাজ কি ওয়াজিব
ঈদুল ফিতরের নামাজ কি ওয়াজিব এ প্রশ্ন যারা করেছেন তাদের উত্তর হলঃ হানাফী
মাযহাব অনুসারে ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। মালিকে ও সাথেই মাহজাব
অনুসারে সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ এবং হাম্ববলী মাযহাব অনুসারে ঈদের নামাজ ফরজ। আবার
কোন কোন ইসলামী পন্ডিতের মতে ঈদের নামাজ ফরজে আইন এবং কোন কোন ইসলামিক পন্ডিতের
মতে ঈদের নামাজ ফরজে কেফায়া। আবার কারো মতে, ঈদের দুই রাকাত নামাজ নফল।
ঈদুল ফিতরের হাদিস
হাদিস শরীফে বলা হয়েছে, যখন ঈদের দিন তথা ঈদুল ফিতরের দিন আসে। তখন আল্লাহর বান্দাদের বিষয়ে ফেরেশতাগণদের সঙ্গে গর্ব করেন। বলেন, হে আমার ফেরেশতারা যে শ্রমিক তার কর্মপূর্ণ তার বিনিময় কি। তারা বলবে, তাদের বিনিময় হলো তাদের পারিশ্রমিক পরিপূর্ণ রূপে প্রদান করা।
ঈদুল ফিতরের ইতিহাস
ঈদুল ফিতর কখন শুরু হয়েছিল এ প্রশ্নের উত্তরে ইসলামের ইতিহাস বিষয়ক গবেষক এবং বিশেষকদের মতে, ৬২৩ খ্রিস্টাব্দে প্রথম ঈদ উদযাপন করা হয়েছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আতাউর রহমান মিযাজী বিবিসি বাংলাকে বলেন, হিজরী দ্বিতীয় সনে ঈদের প্রবর্তন করা হয়েছিল।
ঈদুল ফিতরের সুন্নাহ সমূহ
- অন্যদিনের থেকে ঈদের দিন সকালে ঘুম থেকে ওঠা।
- ঘুম থেকে ওঠার পরে মেসওয়াক করা।
- নিয়ম অনুযায়ী গোসল করা।
- ঈদের দিনে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী উত্তম পোশাক পরিধান করা।
- আতর, সুগন্ধি ব্যবহার করা।
- ঈদুল ফিতরের ঈদগা মাঠে যাওয়ার পূর্বে মিষ্টি খাবার খাওয়া। হাদিসে আছে, বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ তিনি ঈদগাহ বের হতেন না। যতক্ষণ তিনি খেজুর না খেতেন।
- সকাল সকাল ঈদগাহ মাঠে প্রবেশ করা।
- ঈদগা নামাজ পড়ার আগে সদকায় ফিতরা আদায় করা।
- পায়ে হেঁটে ঈদগাহ ময়দানে যাওয়া।
- ঈদগাহ মাঠে ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় তাকবির পড়তে পড়তে যাওয়া।
সর্বশেষ কথা - ২০২৩ সালে রোজার ঈদ কবে - ঈদুল ফিতর ২০২৩ কত তারিখে বাংলাদেশ
প্রিয় পাঠক, অনেকেরই প্রশ্ন থাকে ঈদুল ফিতর ২০২৩ নিয়ে, রোজার ঈদ ২০২৩ কত
তারিখে, রমজানের ঈদ কত তারিখ ২০২৩, ২০২৩ সালে রমজান কোন মাসে, ২০২৩ সালে
রোজার ঈদ কত তারিখে।
আজকের সকল প্রশ্নের উত্তর ২০২৩ সালে রোজার ঈদ কবে-ঈদুল ফিতর ২০২৩ কত তারিখে বাংলাদেশে উপরে বিস্তারিত জানিয়েছি। এছাড়া আলোচনা করেছি ঈদুল ফিতর কি, ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ত, ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম, ঈদুল ফিতরের নামাজ কয় রাকাত, ঈদের নামাজ কি ওয়াজিব, ঈদুল ফিতরের হাদিস, ঈদের ইতিহাস, ঈদুল ফিতরের সুন্নাহ সমপর্কে।
এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থেকে পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদের অসখ্য ধন্যবাদ। এরকম আরো নতুন পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।